ফি দিয়ে সরকার থেকে তথ্য নেওয়ার বিধান রেখে বিল পাস

জাতীয় প্রচ্ছদ

নিখাদ বার্তাকক্ষ : নির্দিষ্ট পরিমাণ ফি দিয়ে জাতীয় আরকাইভস থেকে তথ্য চাইলে তা পাওয়ার বিধান রেখে সংসদে ‘বাংলাদেশ জাতীয় আরকাইভস বিল-২০২১’ পাস হয়েছে। এছাড়া আরকাইভস তথ্যের হার্ড কপির পাশাপাশি সফট কপিও সংরক্ষণ করা হবে। এমন বিধান রেখে ১৯৮৩ সালের এই সংক্রান্ত অধ্যাদেশ বাতিল করে বিলটি পাস করা হয়।

বৃহস্পতিবার (১৬ সেপ্টেম্বর) সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ বিলটি সংসদে প্রস্তাব করলে তা কণ্ঠভোটে পাস হয়। এর আগে বিলের ওপর দেওয়া জনমত যাচাই, বাছাই কমিটিতে পাঠানো এবং সংশোধনীগুলোর নিষ্পত্তি করেন স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী।

বিলে বলা হয়েছে, আরকাইভসে রক্ষিত রেকর্ড চুরি, নষ্ট বা হ্যাক করলে তিন বছরের জেল, ২০ হাজার টাকা জরিমানা হবে। রেকর্ড পাচার করলে পাঁচ বছরের জেল এবং এক লাখ টাকা অর্থদণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে।

জাতীয় আরকাইভস পরিচালনার জন্য ১৯৮৩ সালের একটি অধ্যাদেশ রয়েছে। উচ্চ আদালতের নির্দেশনা অনুসারে সামরিক শাসন আমলে প্রণীত যেসব আইন বা অধ্যাদেশের এখনও প্রয়োজন আছে, সেগুলোকে পরিমার্জন করে বাংলায় রূপান্তরের বাধ্যবাধকতা রয়েছে। সেজন্য বিলটি আনা হয়েছে। বিলে গবেষক ও তথ্যসেবা গ্রহীতাদের অনলাইন ডিজিটাল সেবা দেওয়ার জন্য আরকাইভ ডিজিটাল সেবা বা তথ্য-প্রযুক্তি সেবা দিতে নির্দেশনা রয়েছে।

বিলে আরও বলা হয়েছে, জাতীয় আরকাইভস পরিচালনায় একটি উপদেষ্টা পরিষদ থাকবে। এখানে একজন মহাপরিচালক থাকবেন। অধ্যাদেশে এই মহাপরিচালক ছিলেন না। বিদ্যমান আইনে রেকর্ড বিনষ্ট করার যে বিধান ছিলো খসড়া আইনে তা বাদ দেওয়া হয়েছে।

ফি দিয়ে কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করলে গোপন কোনো দলিল না হলে সরবরাহ করার বিধান রাখা হয়েছে। খসড়া আইনে রেকর্ডের সফট কপি করার বিধান রাখা হয়েছে। যা আগের আইনে ছিলো না।

বিলে বলা হয়েছে, সরকারি রেকর্ড আর্কাইভে থাকলে তা ২৫ বছর বা তার বেশি পুরনো হতে হবে। ব্যক্তিগত রেকর্ডও আরকাইভসে রাখা যাবে।

ঐতিহাসিক, সামাজিক, রাজনৈতিক কিংবা সাংস্কৃতিক তাৎপর্য রয়েছে এমন ৩০ বছর বা তার বেশি পুরনো ব্যক্তিগত রেকর্ড আরকাইভে সংরক্ষণ করা যাবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published.