এবার রাজধানী ঢাকায় ওআইসি ইয়ুথ ক্যাপিটাল ২০২০ উদ্বোধন করা হবে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগামী ২৭ জুলাই বিকেল ৪টায় গণভবন থেকে এই আন্তর্জাতিক সম্মেলন উদ্বোধন করবেন।
মঙ্গলবার (২১ জুলাই) সচিবালয়ে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ে ওআইসি ইয়ুথ ক্যাপিটাল ২০২০ এর ইন্টারন্যাশল প্রোগ্রাম উদযাপন উপলক্ষে কেন্দ্রীয় ব্যবস্থাপনা কমিটির এক সভায় সভাপতির বক্তব্যে যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল একথা জানান।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, বৈশ্বিক মহামারি করোনা ভাইরাসের কারণে ওআইসি ইয়ুথ ক্যাপিটাল অনুষ্ঠানটি এবার ভার্চুয়াল ভাবে অনুষ্ঠিত হবে। গণভবন থেকে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভার্চুয়ালি দুই দিন ব্যাপী এ আয়োজনের উদ্বোধন ঘোষণা করবেন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সার্বিক পৃষ্ঠপোষকতায় বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকা এ বছর ওআইসি যুব রাজধানী হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে।
তিনি বলেন, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশত বর্ষে এ স্বীকৃতি জাতি হিসেবে আমাদের গর্বিত করেছে। বছরব্যাপী বিস্তৃত ওআইসি ইয়ুথ ক্যাপিটাল ২০২০ -এ বিশ্বের ৭৫ টি দেশের প্রায় ১৩ শতাধিক তরুণ অংশগ্রহণ করতে অনলাইনে আবেদন করেছেন।
সভায় প্রতিমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও আপোসহীন সংগ্রামের গৌরবময় ইতিহাস বিশ্বের যুব সম্প্রদায়কে জানানোর তাগিদে ঢাকার এই ইন্টারন্যাশনাল সম্মেলনে ‘বঙ্গবন্ধু গ্লোবাল ইয়ুথ লিডারশিপ অ্যাওয়ার্ড’ প্রদান করা হবে।
তিনি বলেন, এই আয়োজনের মাধ্যমে বিশ্বে যুব সমাজের অমিত সম্ভাবনা তুলে ধরা হবে। বর্তমানে আমরা ডেমো গ্রাফিক ডিভিডেন্ড এর সুবিধা ভোগ করছি। এই সম্মেলনে রোহিঙ্গাদেরকে বাংলাদেশ সরকার আশ্রয় দিয়ে যে মানবিক সহায়তা করছে সেটিও বিশ্ববাসীর কাছে উপস্থাপন করা হবে।
ভার্চুয়াল এই আন্ত্রমন্ত্রণালয় বৈঠকে যুব ও ক্রীড়া সচিব, তথ্য সচিব, ধর্ম সচিব, সংস্কৃতি সচিব এবং বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও সংস্থার কর্মকর্তারা অংশগ্রহণ করেন। বাংলাদেশের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো ভার্চুয়াল পদ্ধতিতে কোনো আন্তর্জাতিক সম্মেলনের আয়োজন করা হচ্ছে। মুসলিম বিশ্বের তরুণদের দৃঢ় ভাতৃত্বের বন্ধনে আবদ্ধ করার প্রয়াসে তাদের নানামুখী কৃতিত্বে উৎসাহ প্রদানের লক্ষ্যে ইসলামিক কো-অপারেশন ইয়ুথ ফোরাম (আইসিওয়াইএফা) ২০১৫ সাল থেকে প্রতিবছর ওআইসি সদস্যভুক্ত দেশসমূহকে ‘ওআইসি ইয়ুথ ক্যাপিটাল’ এর স্বীকৃতি প্রদান করে আসছে।
২০১৯ সাল থেকে শুরু হওয়া তীব্র প্রতিযোগিতামূলক নির্বাচন প্রক্রিয়ার বিভিন্ন ধাপ সফলতার সাথে সম্পন্ন করে ২০১৯ সালের ২৫ ডিসেম্বর বাংলাদেশ গৌরবজনক এই স্বীকৃতি অর্জন করে। ‘ওআইসি ইয়ুথ ক্যাপিটাল ২০২০’ হিসেবে বাংলাদেশের এই অর্জন বাংলাদেশের তরুণ সমাজের জন্য অপরিসীম অনুপ্রেরণার সঞ্চার করেছে। বাংলাদেশের এই স্বীকৃতি বিশ্বব্যাপী বাংলাদেশের একটি উজ্জ্বল ও শক্তিশালী ভাবমূর্তি গড়ে তুলতে সক্ষম হবে। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের পর ২৭ ও ২৮ জুলাই দুইদিনব্যাপী রিসাইলেন্ট ইয়ুথ লিডারশীপ সামিট নামে একটি যুবসম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। সম্মেলনের অন্যতম অংশ হিসেবে থাকবে
কোভিড-১৯ পরবর্তী পরিস্থিতিতে যুব সমাজ এবং প্রযুক্তি-এর উল্লেখযোগ্য ভূমিকা নিয়ে দেশ ও বিদেশের বিশেষজ্ঞদের সমন্বয়ে সেমনিার ও ওয়ার্কশপ সেশন। এই যুব সম্মেলনের অন্যতম উদ্দেশ্য হবে মিয়ানমার থেকে বিতাড়িত ও অত্যাচারিত রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর বিষয়ে বিশ্বব্যাপী যুব সম্প্রদায়কে সচেতন করা এবং মিয়ানমারের জবাবদিহিতা নিশ্চিতকরণ ও রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর মিয়ানমারে সম্মানজনক ও নিরাপদ প্রত্যাবাসন নিশ্চিতকরণে বিশ্বব্যাপী জনমত গড়ে তোলা।
এছাড়া কক্সবাজারের রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ভার্চুয়াল পরিদর্শন এবং দেশি-বিদেশি বিশেষজ্ঞদের উপস্থিতিতে প্যানেল আলোচনার মাধ্যমে যুব সম্প্রদায়কে রোহিঙ্গা সংকট বিষয়ে ব্যাপকভাবে সচেতন করা হবে।