বাল্য বিবাহ প্রতিরোধে কাজীদের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ

রংপুর

নিখাদ বার্তাকক্ষ: টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্য অর্জনের ক্ষেত্রে শিশুদের স্বাভাবিক বৃদ্ধি, শিক্ষা এবং ক্ষমতায়ন নিশ্চিত করার প্রক্রিয়ায় বাল্য বিবাহ প্রতিরোধ ও শিশুদের রক্ষা করতে কাজীরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারেন।
জেলা রেজিস্টার অফিসে মঙ্গলবার বিকেলে আয়োজিত ‘সোশ্যাল এন্ড বিহেইবিয়ার চেঞ্জ কমিউনিকেশন (এসবিসিসি) ম্যাটেরিয়াল ডিস্ট্রিবিউশন এন্ড ওরিয়েন্টেশন অন চাইল্ড প্রটেকশন’ শীর্ষক এক অনুষ্ঠানে বক্তারা একথা বলেন।
ওয়াল্ড ভিশন বাংলাদেশের রংপুর এরিয়া অফিসের সহযোগিতায় জেলা রেজিস্টার অফিস রংপুর সিটি কর্পোরেশন এলাকার কাজীদের জন্য এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। নারীদের প্রতি সকল প্রকার সহিংসতা দূর করতে ও বাল্য বিবাহ প্রতিরোধ করতে এবং অংশগ্রহণকারী কাজীদের মধ্যে সামাজিক ও আচরণ পরিবর্তন যোগাযোগ উপাদান বিতরণের প্রচারণা হিসেবে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
ওয়াল্ড ভিশন বাংলাদেশের রংপুর এরিয়া অফিসের সিনিয়র ম্যানেজার অনুকূল চন্দ্র বার্মনের সভাপতিত্বে এতে প্রধান অতিথি ছিলেন রংপুর জেলা রেজিস্টার মো. আব্দুস সালাম প্রামাণিক। এসময় ওয়াল্ড ভিশনের ৫০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে শিশু সুরক্ষায় ধর্মীয় নেতাদের এবং সুশীল সমাজের সদস্যদের অংশগ্রহণে একটি ডকুমেন্টারি প্রদর্শন করা হয়।
এতে অংশগ্রহণকারী কাজীদের পক্ষে মো. একরাম উদ্দিন বাল্য বিবাহ প্রতিরোধে কমিউনিটি স্তরে তারা বিভিন্ন বাধার সম্মুখীন হন তা আলোচনা করেন এবং সামাজিক বিপর্যয় রোধে স্থানীয় প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিদের সহায়তা কামনা করেন।
বাল্য বিবাহ সারাদেশে উদ্বেগের কারণ উল্লেখ করে তিনি কিশোর-কিশোরীদের শিক্ষা,ক্ষমতায়ন ও উজ্জ্বল ভবিষৎ নিশ্চিত করতে সাধারণ মানুষ ও প্রশাসনের যৌথ উদ্যোগে সামাজিক এই অভিশাপ বন্ধের ওপর গুরুত্বারোপ করেন। প্রধান অতিথি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০৪১ সালের মধ্যে বাল্য বিবাহমুক্ত দেশ উন্নত বাংলাদেশ গড়ার অঙ্গিকার বাস্তবায়নে নিজ নিজ অবস্থান থেকে বাল্য বিবাহ নির্মূল করতে সবাইকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছে।
তিনি বলেন, ‘বাল্য বিবাহ বন্ধে কাজীদের ভূমিকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আসুন আমরা আমাদের সন্তানদের উজ্জ্বল ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে বাল্য বিবাহকে না বলি।’
অনুকূল চন্দ্র বার্মন সামাজিক সচেতনতা সৃষ্টির ওপর জোর দিয়ে বলেন, বাল্য বিবাহমুক্ত বাংলাদেশ গড়তে বাল্য বিবাহ নিরোধ আইন ২০১৭ এর কঠোর প্রয়োগ নিশ্চিত করতে সবাইকে একযোগে কাজ করতে হবে। পরে অংশগ্রহণকারী ২২ জন কাজীকে নাম, মোবাইল নম্বর ও সচেতনতামূলক বার্তাসহ একটি বিবাহ নিবন্ধন বোর্ড বিতরণ করা হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published.