নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ে কবি নজরুলকে বাংলাদেশে আনার সুবর্ণজয়ন্তী পালিত

প্রচ্ছদ ময়মনসিংহ

নিখাদ বার্তাকক্ষ : জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কর্তৃক জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামকে বাংলাদেশে আনার সুবর্ণ জয়ন্তী (৫০ বছর) উপলক্ষ্যে দিনব্যাপী নানা কর্র্মসূচী পালন করেছে ত্রিশালের জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়।
আজ মঙ্গলবার দিনব্যাপী জমকালো আয়োজনের মধ্যদিয়ে নজরুল বিশ^বিদ্যালয় এ কর্মসূচি পালন করে। বিশ^বিদ্যালয়ের এক প্রেসবিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামকে ১৯৭২ সালের ২৪ জানুয়ারি বাংলাদেশে নিয়ে এসে তাকে জাতীয় কবির মর্যাদা দেন।
এ উপলক্ষ্যে দিনব্যাপী নানা কর্মসূচির মধ্যে ছিল আলোচনা সভা, স্থানীয় ও আন্তর্জাাতিক সেমিনার, স্মারক ডাক টিকেট প্রকাশ, নজরুল পদক প্রদান, বইমেলা ও চারুকলা প্রদর্শনী।
এ উপলক্ষ্যে সকালে বিশ^বিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়।
ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার এবং উপাচার্য প্রফেসর ড. সৌমিত্র শেখর পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। এরপর বিশ^বিদ্যালয়ের গাহি সাম্যের গান মঞ্চে তিন দিনব্যাপী ১২৩তম নজরুল জন্মজয়ন্তী উদ্বোধনী পর্ব ও বঙ্গবন্ধুর উদ্যোগে নজরুলের বাংলাদেশে আগমনের সুবর্ণজয়ন্তী (৫০ বছর) উপলক্ষ্যে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। বিশ^বিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. সৌমিত্র শেখরের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার।
বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক কবি মুহম্মদ নূরুল হুদা, ট্রেজারার অধ্যাপক মো. জালাল উদ্দিন ও শিল্পী সুজিত মোস্তফা। সঞ্চালনা করেন বিশ^বিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার কৃষিবিদ ড. মো. হুমায়ুন কবীর।
ত্রিশালের নজরুল বিশ^বিদ্যালয় সারা বাংলাদেশের বিশ^বিদ্যালয়গুলোর মধ্যে পথ নির্দেশক হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার প্রতাশ্যার কথা জানিয়ে ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তফা জব্বার বলেন, নজরুল বিশ^বিদ্যালয়ের প্রথম ইটফেলা থেকে শুরু করে এখন পর্যন্ত এর সঙ্গে আমার যে সম্পর্ক সে সম্পর্কের সূত্রধরে আমার অন্তরের মধ্যে এই বিশ^বিদ্যালয়। এই প্রতিষ্ঠান আমাদের স্বপ্নের প্রতিষ্ঠান।
নজরুলের জীবনের নানা দিকের কথা তুলে ধরে সভাপতির বক্তব্যে উপাচার্য প্রফেসর ড. সৌমিত্র শেখর বলেন, এ দিনটি যদি আমাদের ইতিহাসে না থাকতো, দিনপঞ্জিকায় না থাকতো তাহলে হয়ত আমাদের জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামকে আমাদের এ মাটিতে সমাধিস্থ করতে পারতাম না। আমাদের এ মাটিতে যে তাকে দীর্ঘ কয়েক বছর রাখার সুযোগ পেয়েছিলাম সে সুযোগ হতে বঞ্চিত হতাম।
এদিকে, দুপুর তিনটায় গাহি সাম্যের গান মঞ্চে অনুষ্ঠিত হয় ‘বঙ্গবন্ধু উদ্যোগে নজরুলের বাংলাদেশে আগমনের সুবর্ণজয়ন্তী’ শীর্ষক আন্তর্জাতিক সেমিনার। বিশিষ্ট বুদ্ধিজীবী ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব রামেন্দু মজুমদারের সভাপতিত্বে ‘বাঙালিত্বের স্বপ্নবাহক নজরুল ও বাংলাদেশ’ শীর্ষক প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন মুক্তিযুদ্ধ যাদুঘরের গবেষক ও প্রতিষ্ঠাতা ট্রাস্টি মফিদুল হক, ‘বাংলাদেশে নজরুল, নজরুলের বাংলাদেশ’ শীর্ষক প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন চট্টগ্রাম বিশ^বিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. আনোয়ার সাঈদ ও কলকাতার ডায়মন্ড হারবার উইমেন্স ইউনিভার্সিটির কলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. তপন মন্ডল ‘পশ্চিমবঙ্গে নজরুলের অবস্থান (১৯৪২-১৯৭২)’ শীর্ষক প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন। সেমিনারে আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন উত্তরা ইউনিভার্সিটির উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. ইয়াসমীন আরা লেখা। এরপরে সংগীত, নৃত্য নাটক ও প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শনী করা হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published.