লকডাউন করা সংক্রান্ত প্রস্তাবে অনুমোদন দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

বাংলাদেশ সাস্থ্য ও চিকিৎসা

প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস সংক্রমণ মাত্রার উপর ভিত্তি করে রেড, ইয়েলো ও গ্রিন-এই তিন জোনে সারাদেশকে বিভক্ত করে ।লকডাউন করা সংক্রান্ত প্রস্তাবে অনুমোদন দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সোমবার সচিবালয়ে মন্ত্রিসভা বৈঠকের প্রেস ব্রিফিংয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম এ তথ্য জানান। এর আগে জাতীয় সংসদ ভবনে প্রধানমন্ত্রীর সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

জোনিং করে লকডাউনের বিষয় নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘এটা কেবিনেট মিটিংয়ে আলোচনা হয়নি, মন্ত্রীর (স্বাস্থ্যমন্ত্রী) সাথে আমার আলোচনা হয়েছে। আমাদের যে সংক্রামক ব্যাধি আইন আছে, এটা সেই আইনের মধ্যে দেয়া আছে। সেই অনুযায়ী বিভিন্ন পদক্ষেপ নেয়ার জন্য স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়, স্বাস্থ্য অধিদফতর অথরাইজড।

তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী এটা অ্যাপ্রিশিয়েট করেছেন যে, আইটি ব্যবহার করে যেভাবে জোনিং করার চিন্তা-ভাবনা হচ্ছে এটা সারা পৃথিবীতে করা হচ্ছে। এটাতে সুবিধা আছে। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও অন্যান্য এক্সিকিউটিভ মিনিস্ট্রি তারা বসেই যদি মনে করে কোনো জায়গাটাকে…. রেড জোন ডিক্লেয়ার করা সবার জন্যই ভালো, কারণ সবাই তখন সতর্ক হতে পারবে।’

মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘কোনো এলাকায় যদি অধিক সংক্রমণ থাকে সেই এলাকাকে যদি স্পেশালি নিয়ন্ত্রণে নেয়া যায়, সে বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী সম্মতি দিয়েছেন সোমবার।’করোনা মহামারির মধ্যে দুই মাসের বেশি সাধারণ ছুটির পর ৩১ মে থেকে দেশে সরকারি ও বেসরকারি অফিস খুলেছে। চালু হয়েছে গণপরিবহন। এই অবস্থায় সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণের বাইরে যাতে না চলে যায় সেজন্য লাল, হলুদ ও সবুজ জোনে ভাগ করে এলাকাভিত্তিক লকডাউনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। রেড জোনের প্রাথমিক তালিকায় ঢাকায় ওয়ারির একটি এলাকাকে রাখা হয়েছে। এর বাইরে নারায়ণগঞ্জে তিনটি এলাকা ও কক্সবাজারের রোহিঙ্গা অধ্যুষিত এলাকাগুলোতে লকডাউন কার্যকর করার ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।

এদিকে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ইন্দিরা রোড সংলগ্ন পূর্ব রাজাবাজার এলাকায় আগামীকাল মধ্যরাত থেকে লকডাউন শুরু হচ্ছে। সংক্রমণের মাত্রা তুলনামূলকভাবে বেশি হওয়ায় এলাকাকে ‘রেড জোন’ বিবেচনায় এই ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published.