মগবাজার আবাসিক হোটেল থেকে সাংবাদিক আজাদীর লাশ উদ্ধার

ঢাকা

নিখাদ বার্তাকক্ষ : রাজধানীর মগবাজার এলাকার একটি আবাসিক হোটেল থেকে সাতক্ষীরা বাসিন্দা সাংবাদিক জাকির হোসেন আজাদীর মরদেহ উদ্ধার হয়েছে।

রোববার মগবাজার এলাকার ‘সিটি স্টার’ নামের হোটেলটির পাঁচ তলার ৫১৫ নম্বর কক্ষের টয়লেট থেকে জাকির হোসেন আজাদীর মরদেহ উদ্ধার করা হয় বলে হাতিরঝিল থানার ওসি শাহ মোহাম্মদ আওলাদ হোসেন জানান।

আজাদী একসময়ে ইত্তেফাকে সাব এডিটর হিসেবে কাজ করেছেন। পরে কাজ করেছেন বিভিন্ন পত্রিকায়। তার বাড়ি সাতক্ষীরায়। ৪৩ বছর বয়সী আজাদী ছিলেন অবিবাহিত।
পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে তেমন যোগাযোগ ছিল না জাকির হোসেন আজাদীর, তিনি ওই হোটেলেই থাকছিলেন বেশ কয়েক বছর ধরে।

হাতিরঝিল থানার ওসি শাহ মোহাম্মদ আওলাদ হোসেন বলেন, পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে আজাদীর তেমন যোগাযোগ ছিল না। বেশ কয়েক বছর ধরে তিনি ওই ‘সিটি স্টার’ হোটেলেই থাকতেন। আমরা ধারণা করছি, দিন দুই আগে অসুস্থ অবস্থায় টয়লেটে পড়ে গিয়ে তার মৃত্যু হয়েছে। দুদিন তার রুমের দরজা বন্ধ পেয়ে হোটেল কর্তৃপক্ষ পুলিশে খবর দেয়। পুলিশ গিয়ে হোটেলে তার রুম আর টয়লেটের দরজা ভেঙে মরদেহ উদ্ধার করে।

তবে ময়নাতদন্তের পরই আজাদীর মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে বলে মন্তব্য করেন এই পুলিশ কর্মকর্তা। এ বিষয়ে থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে।

আজাদীর ছোট ভাই মো. আবদুল আলিম সাংবাদিকদের জানান, ব্যক্তিগত জীবনে তিনি অবিবাহিত ছিলেন। গত চার বছর ধরে ওই হোটেলেই তিনি থাকতেন।

আবদুল আলিম আরো বলেন, হোটেল থেকে আমাদের জানানো হয় সেখানের একটি কক্ষের টয়লেটে আমার ভাই পড়ে ছিলেন। তার পায়ে স্যান্ডেলও পরা ছিল। মাথা ফেটে রক্ত বের হয়েছিল।

ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের (ডিইউজে) সাধারণ সম্পাদক আকতার হোসেন বলেন, এক সময় জাকির হোসেন আজাদী ইত্তেফাকে সহ সম্পাদক হিসেবে কাজ করতেন। এরপরে আরও কয়েকটি পত্রিকায় কাজ করেছেন। তিনি ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সদস্য ছিলেন এবং অনেক প্রতিবাদ কর্মসূচিতে সক্রিয়ভাবে অংশও নিতেন। তার মৃত্যুতে আমরা শোকাহত।

ময়নাতদন্ত শেষে জাকির হোসেন আজাদীর মরদেহ সাতক্ষীরায় নেয়া হবে। সেখানেই জানাজা শেষে তাকে দাফন করা হবে বলেও সাংবাদিকদের জানান তার ছোটভাই আবদুল আলিম। ।

Leave a Reply

Your email address will not be published.