সূফী সদর উদ্দিন চিশতীর লেখা বই বিকৃতি ও মিথ্যা সংবাদ প্রকাশ

সারাদেশ সাহিত্য

নিখাদ বার্তাকক্ষ  ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩ সূফী দার্শনিক সদর উদ্দিন আহমদ চিশতী এঁর লেখা “মাওলার অভিষেক (গাদিরে খুম)” বইটিকে বিকৃতিপূর্বক “মাওলা আলীর অভিষেক” নামকরণ করে প্রচ্ছদ পরিবর্তনসহ বইটিতে অনেক সংযোজন- বিয়োজন করে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে উক্ত বইয়ের মোড়ক উন্মোচনের আয়োজন করেছে ভক্ত নামধারী আবদেল মান্নান ও তার সহযোগীরা।

এই বিকৃতির প্রতিবাদে লেখকের দ্বিতীয় পুত্র ইমামীয়া চিশতীয়া পাবলিশারের প্রকাশক আনোয়ার আহমেদ (শিবলী) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. মাকসুদ রহমানকে বিষয়টি জানালেন। প্রক্টর ড. মাকসুদ উক্ত বিষয়টি অনুষ্ঠানের সভাপতি অধ্যাপক ড. আনিসুজ্জামানকে জানাতে বলেন।

অনুষ্ঠানের সভাপতিকে বিষয়টি অবহিত করলে সভাপতি দর্শনশাস্ত্রজ্ঞ অধ্যাপক ড. আনিসুজ্জামান এবং আলোচক- ড. আহসান আল হাদী তারা উভয়ই এই বিকৃতিতে দুঃখ প্রকাশ করেন এবং বইয়ের স্বত্বাধিকার আইন লঙ্ঘন হওয়ায় অনুষ্ঠান বাতিল ঘোষণা করেন।

এর পরিপ্রেক্ষিতে ৩০শে সেপ্টেম্বর ২০২৩ দৈনিক দেশ রূপান্তর পত্রিকায় ”সুফি সদর উদ্দিন আহমদ চিশতী স্মারক বক্তৃতা স্থগিত” শিরোনামে একটি সংবাদ প্রকাশ করা হয়। প্রকাশিত সংবাদটি মিথ্যা, বানোয়াট ও আপত্তিকর।

দেশ রূপান্তর পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদটি হলো:-“ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আরসি মজুমদার আর্টস অডিটরিয়ামে সুফি সদর উদ্দিন আহমদ চিশতী স্মারক বক্তৃতা অনুষ্ঠান কিছু সশস্ত্র লোকের বাধা ও হুমকির কারণে এবং শান্তিভঙ্গের আশঙ্কায় স্থগিত করা হয়েছে।”

এছাড়াও লিখেছেন:- “আমন্ত্রিত অতিথিরা যখন অনুষ্ঠান শুরুর সময় বিকেল ৪টায় অডিটরিয়ামে সমবেত হন তখন আনোয়ার আহমদ শিবলী নামে উচ্ছৃঙ্খল এক ব্যক্তির নেতৃত্বে ৪০-৫০ জনের সশস্ত্র দল মঞ্চে উঠে অনুষ্ঠান বন্ধ না করলে উদ্যোক্তাদের প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দেয়।”

প্রকাশিত সংবাদটি সম্পূর্ণ মিথ্যা, বানোয়াট ও আপত্তিকর বলে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন ইমামীয়া চিশতীয়া পাবলিশারের প্রকাশক আনোয়ার আহমেদ (শিবলী) ও সূফী সদর উদ্দিন আহমদ চিশতী এঁর ভক্তবৃন্দ।

সেদিন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আরসি মজুমদার আর্টস অডিটরিয়ামে আনোয়ার আহমেদ শিবলী উপস্থিত ছিলেন না। তাকে বিষয়টি জানানোর পর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করে ব্যবস্থা গ্রহণ পূর্বক হলের বাহিরে অবস্থান করেন। এরপর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বিষয়টি অবগত হয়ে অনুষ্ঠান স্থগিত করেন।

উল্লেখ্য, ১৯৮০ সালে বইটি প্রথম প্রকাশিত হয়। লেখকের সকল বইয়ের বিকৃতিরোধে ঢাকা জজকোর্ট আদালত তাঁর সকল বইয়ের সকল স্বত্ব তার পরিবারের কাছে ন্যস্ত করেন। আদালতের নির্দেশনা থাকলেও লালন বিশ্বসংঘের আবদেল মান্নান আদালতের সেই আদেশ লংঘন করেছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published.