রাজশাহীতে আদিবাসী কিশোরী ধর্ষণ মামলায় যাজক গ্রেফতার

অপরাধ রাজশাহী

রাজশাহীর তানোরে গীর্জায় তিনদিন আটকে রেখে এক আদিবাসী কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগে ফাদার প্রদীপ গ্যাগরীকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব।
মামলা দায়েরের পর মঙ্গলবার দিবাগত রাত ১২ টায় রাজশাহী নগরের নওদাপাড়া এলাকায় রাজশাহী ধর্ম প্রদেশের বিসপ হাউজ থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
সকালে তাকে তানোর থানা পুলিশের হেফাজতে দেয়া হয় বলে জানিয়েছেন তানোর থানার ওসি রাকিবুল হাসান।

তিনি বলেন, অপহরণ ও ধর্ষণ মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে বুধবার দুপুরে প্রদীপকে আদালতে পাঠানো হয়েছে। এছাড়াও জবানবন্দি রেকর্ড করার জন্য ওই কিশোরীকে পাঠানো হয়েছে আদালতে।
পুলিশ ও পরিবার জানায়, গত ২৬ সেপ্টেম্বর সকালে বাড়ি থেকে মাঠে ঘাস কাটতে গিয়ে আর বাড়ি ফিরে আসেনি মেয়েটি। সারাদিন তাকে খোঁজাখুঁজি করে না পেয়ে ২৭ সেপ্টেম্বর তানোর থানায় পরিবারের পক্ষ থেকে একটি জিডি করা হয়। মঙ্গলবার বিকেলে পুলিশ গীর্জা থেকে কিশোরীটিকে উদ্ধার করে। রাতে তার ভাই বাদী হয়ে থানায় অপহরণ ও ধর্ষণ মামলা দায়ের করে।
কিশোরীর ভাই জানান, ২৮ সেপ্টেম্বর গীর্জার ফাদারে ভবনের ছাদে কিশোরীকে দেখতে পায় স্থানীয়রা। ওই দিন পরিবারের লোকজন কিশোরীকে উদ্ধার করতে গেলে ফাদার বাধা দেয়। এ সময় স্থানীয়রা রাজশাহীর জেলা ধর্ম প্রদেশের ইনচার্জকে বিষয়টি মোবাইলে ফোনে জানায়। তিনি সোমবারে দুপুরে রাজশাহী ধর্ম প্রদেশের তিনজন প্রতিনিধি ফাদার পাঠান।

পরে তারা স্থানীয় গ্রাম্য প্রধান মাইকেল হেমরণ ও মহেষ মুরমু ও আদিবাসী নেতা কামেল মার্ডীকে নিয়ে সালিসি বৈঠক বসান। সালিসি বৈঠকে ফাদার প্রদীপকে অপসারণ করা হয় এবং কিশোরীকে ভরণ পোষণসহ যাবতীয় খরচ বহন করা হবে গীর্জার পক্ষ থেকে বলে সিদ্ধান্ত নেয়। এর পর তারা জিডি তুলে নিতে বাদিকে চাপ দেয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *