বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ও স্বপ্নদ্রষ্টা জেনারেল আজিজ

জাতীয় জীবন-যাপন


স্বপ্ন দেখা, স্বপ্ন বুনন করা এবং স্বপ্নের বাস্তব প্রতিফলন ঘটানোর জন্য পৃথিবীতে যুগে যুগে, কালে কালে কিছু কিছ মানুষের আভির্ভাব ঘটে। যার উদাহরণ দিয়ে শেষ করা যাবে না। এদের মধ্যে কেউ কেউ হয়ে উঠেছেন বিশ্বজনিন, কেউ বা দেশভিত্তিক, কেউবা প্রতিষ্ঠান ভিত্তিক এবং কেউ কেউ আবার এলাকাভিত্তিক মটি ও মানুষের জন্য কাজ করতে গিয়ে সার্বজনিন হয়েছেন। বরণীয় স্মরণীয় বিশ্বজনীন করে তুলেছেন নিজেকে এবং তার জন্মভূমিকে। কেউ কেউ আবার জীবন্ত কিংবদন্তি হয়ে মানুষের মাঝে বিচরণ করছেন। মানুষের জন্য অকাতরে ঢেলে দিয়ে যাচ্ছেন সর্বস্ব। নিজের অন্তরগত উৎস থেকে তৈরি করে যাচ্ছেন সবার জন্য সুন্দর ও স্বপ্নময় আগামী। নির্ভরযোগ্য ও বাসোপযোগী মানুষের জন্য শান্তিময় আবাসভূমি। এমনই একজন আমাদের তথা দেশবাসীর প্রিয় বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর ও বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদ।

১ জানুয়ারি ১৯৬১ ইং সালে নারায়ণগঞ্জে জন্ম নেয়া আজিজ আহমেদের পৈতৃক বাড়ি চাঁদপুর জেলার মতলব উত্তর উপজেলার সুলতানাবাদ ইউনিয়নের টরকী গ্রামে। তার বাবা ওয়াদুদ আহমেদ বিমানবাহিনীর সদস্য ছিলেন। আজিজ মোহাম্মদপুর সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি পাশ করেন। পরে তিনি নটরডেম কলেজ, ঢাকা থেকে উচ্চমাধ্যমিক (এইচএসসি) পাশ করেন। ১৯৮০ সালে কলেজ অব টেক্সটাইল টেকনোলজি (বর্তমান বাংলাদেশ টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয়) থেকে টেক্সটাইল টেকনোলজি বিষয়ে ডিপ্লোমা শেষ করেন।

জেনারেল আজিজ আহমেদ রাষ্ট্রীয় বিশ্বস্ততার সাথে পেশাগতভাবে পালনের কারণে সামাজিক সাংস্কৃতিক ও বয়সের তুলনায় মানুষের অকৃত্তিম ভালোবাসা মাখা ঈর্ষণীয় খ্যাতি ইতিমধ্যে পেয়ে গেছেন নিজ কর্মস্থল সহ দেশের জনসাধারণের কাছ থেকে। নানা উপাধিতে যথাযোগ্যতার পরিচয় দিয়েছেন কাজ করে ও উনার উপর অর্পিত রাষ্টযন্ত্রের সকল দ্বায়িত্ব সুচারুভাবে ও সফলভাবে শেষ করার মাধ্যমেই। কখনো সর্বশ্রষ্ট সৈনিক,কখনোবা আপদকালীন বা সঙ্কটজনক পরিস্থিতিতে বুদ্ধিমত্তার সাথে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার রূপকার হিসেবে বা কখনো তারুণ্যদীপ্ত নেতৃত্ব ইত্যাদি ইত্যাদি। আমি বলবো জেনারেল আজিজ আহমেদ হচ্ছে স্বপ্নবাজ এক উত্তম পুরুষ সৈনিক। যিনি সকল শ্রেনীর মানুষকে ভালোবেসে মানুষের ভালোবাসা সহজেই অর্জন করার সুদক্ষ এক কারিগর। যিনি নিজে জেগে জেগে স্বপ্ন দেখেন, স্বপ্ন দেখান এবং স্বপ্নের সহজ বাস্তবায়ন ঘটাতে সক্ষম এক বীর পুরুষ সৈনিক।

মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর অত্যন্ত আস্থাভাজন ও পরীক্ষিত বিশ্বস্ত ভ্যানগার্ড জেনারেল আজিজ আহমেদ নিজ জন্মস্থান নারায়ণগঞ্জ বা পৈতৃক বাড়ি মতলব বা শিক্ষা জীবন কাটানোর স্থানগুলোর মানুষের প্রতি কোন আলাদাভাবে মায়া মমতা ভালোবাসা ছিলোনা উনার। দেশের সকল মাটি মানুষের জন্য নিজেকে এমন নিঃস্বার্থভাবে নিবেদন করেছেন তা বলাবাহুল্য।আর জেনারেল আজিজ আহমেদ মহোদয় উনার বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর ” টপ টু বটম” সকলেই উনাকে মাটির মানুষ হিসাবে ভালবাসে ও শ্রদ্ধা করেন। বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়ে তোলার জন্য তারই সুযোগ্য কন্যা দেশরত্ম মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনা মোতাবেক ও হাত ধরে সর্বশেষ “করোনা যুদ্ধ” শুরু হবার পর হতে এই প্রতিবেদন লেখা ও ছবি উঠানো হয়েছে অজ ৩০ সেপ্টেম্বর২০২০ ইং পর্যন্ত জেনারেল আজিজ আহমেদ মহোদয়ের প্রতিদিনের প্রতি মূহুর্তের দিকনির্দেশনা ও জবাবদিহিতায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রতিটি এরিয়া কমাণ্ড ও পদাতিক ডিভিশনের “‘জেওসি”‘দের সার্বক্ষণিক তত্ত্বাবধানে এবং অন্যান্যরা উচ্চপদস্থ সেনা কর্মকর্তাদের সঠিক নজরদারিতে বাংলাদেশের এমন কোন গ্রামে বাদ রাখিনি যেখানে সেনাবাহিনীর সদস্যরা থৈ খাদ্যদ্রব্য , চিকিৎসা সামগ্রী ও চিকিৎসক এবং জনসদচেতনতা মূলক প্রচারণা করছে এবং ইনশাআল্লাহ আপনাদের প্রয়োজন সাপেক্ষে চলতি বছর পর্যন্ত চলমান থাকবে।। যতদিন না পর্যন্ত করোনা যুদ্ধে বিজয়ী হবে এদেশের জনতা। জনতাকে বিজয়ী করে দিয়ে সেনাবাহিনীর সদস্যরা ব্যরাকে ফিরে যাবে। এটাই বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর ও বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর উপর সাধারণ জনতা অনুরোধ এবং মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ম শেখ হাসিনার নির্দেশনা।

সেনাবাহিনীর আরো একটি কর্মকাণ্ড বিশেষভাবে উল্লেখ্য যে, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্ম শতবার্ষিকী উপলক্ষে সশস্ত্র বাহিনীর প্রধান জেলারেল আজিজ আহমেদ মহোদয়ের দিক নিদ্দেশনায় বাংলাদেশ সশস্ত্রবাহিনী ও সেনাবাহিনীর প্রতিটি এরিয়া কমাণ্ড ও পদাতিক ডিভিশন এবং অন্যান্যরা তেমন — ১)সাভার এরিয়া কমান্ড -সাভার সেনানিবাস ২)কক্সবাজার এরিয়া কমান্ড -রামু সেনানিবাস
৩)বগুড়া এরিয়া কমান্ড -মাঝিরা সেনানিবাস
৪)সিলেট এরিয়া কমান্ড -সিলেট সেনানিবাস
৫)ঘাটাইল এরিয়া কমান্ড -শহীদ সালাউদ্দীন সেনানিবাস
৬)চট্টগ্রাম এরিয়া কমান্ড -চট্টগ্রাম সেনানিবাস
৭)কুমিল্লা এরিয়া কমান্ড -কুমিল্লা সেনানিবাস
৮)যশোর এরিয়া কমান্ড -যশোর সেনানিবাস
৯)রংপুর এরিয়া কমান্ড -রংপুর সেনানিবাস
১০)”‘বরিশাল এরিয়া কমান্ড -শেখ হাসিনা সেনানিবাস
ইত্যাদির প্রধান কর্মকর্তাদের অর্থাৎ ” জেওসি”দের
সার্বক্ষণিক তত্ত্বাবধানে গর্ভবতী মায়েদের বিনামূল্যে স্বাস্থ্য পরীক্ষা, ল্যাব পরীক্ষা, রক্তচাপ পরীক্ষা, সুগার পরীক্ষা, ইউরিন পরীক্ষা এবং কোভিড-১৯ নমুনা পরীক্ষাসহ ব্যবস্থাপত্র ও ঔষধ প্রদান করা হয়। পাশাপাশি মাস্ক, হরলিকস এবং স্যানিটারি প্যাডসহ বিভিন্ন স্বাস্থ্য সুরক্ষা সামগ্রী এবং পুষ্টিকর খাবারের প্যাকেটও বিনামূল্যে প্রদান করা শুরুর পর হতে এখনো চলমান রেখছে সেনাবাহিনীর সবকটি এরিয়া সদর দপ্তর ও সকল পদাতিক ডিভিশন এবং অন্যান্যরা।

Leave a Reply

Your email address will not be published.