প্রতারক শাহেদ করিমের বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনে করা মামলার রায় ঘোষণার জন্য ২৮ সেপ্টেম্বর দিন ধার্য করেছেন আদালত। এই মামলায় ১৪ জন সাক্ষীর মধ্যে ১১ জনের সাক্ষ্য নেয়া হয়েছে।
রোববার ২০ সেপ্টেম্বর রাষ্ট্র ও আসামিপক্ষের যুক্তি উপস্থাপনের পর রায় ঘোষণার দিন ধার্য করেন ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কে এম ইমরুল কায়েশ।
অস্ত্র মামলায় প্রতারক শাহেদ করিমের বিরুদ্ধে যুক্তি উপস্থাপনকালে আদালতের কাছে আসামির যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দাবি করে রাষ্ট্রের পক্ষে ঢাকা মহানগর পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) আব্দুল্লাহ আবু এবং বৃহস্পতিবার ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কে এম ইমরুল কায়েশের আদালতে যুক্তি উপস্থাপন শেষ করেন রাষ্ট্রপক্ষ। রাষ্ট্রপক্ষের যুক্তি উপস্থাপন শেষে প্রতারক শাহেদ করিমের আইনজীবী যুক্তি উপস্থাপন শুরু করেন। ঐদিন শাহেদ করিমের পক্ষে যুক্তি উপস্থাপন শেষ না হওয়ায় রোববার পরবর্তী দিন ধার্য করেছিলেন আদালত।
তাছাড়া বুধবার ১৬ সেপ্টেম্বর আত্মপক্ষ সমর্থনে নিজেকে নির্দোষ দাবি করে প্রতারক শাহেদ করিম। ঐসময় আদালত তাকে সাফাই সাক্ষী দিবেন কি-না প্রশ্ন করলে প্রতারক শাহেদ করিম সাফাই সাক্ষী দিবেন না বলে জানান। এরপর আদালত রাষ্ট্রপক্ষের যুক্তি উপস্থাপনের জন্য এদিন ধার্য করেন।
আত্মপক্ষ সমর্থনে প্রতারক শাহেদ করিম বলে, আমার কাছে থেকে কোনো অস্ত্র উদ্ধার করা হয়নি। আমি সম্পূর্ণ নির্দোষ। আমি আদালতের কাছে ন্যায় বিচার প্রত্যাশা করছি। মামলায় ১৪ জনের মধ্যে ১১ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, প্রতারণার অভিযোগে গত ১৫ জুলাই সাতক্ষীরার সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে প্রতারক শাহেদ করিমকে গ্রেফতার করে র্যাব হেলিকপ্টারে তাকে ঢাকায় আনে। করোনা পরীক্ষার নামে ভুয়া রিপোর্টসহ বিভিন্ন প্রতারণার অভিযোগে করা মামলায় পরদিন প্রতারক শাহেল করিমের ১০ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। তাকে নিয়ে উত্তরায় অভিযানে গিয়ে অস্ত্র উদ্ধার করে ডিবি পুলিশ। অস্ত্র উদ্ধারের ঘটনায় ডিবি পুলিশের পরিদর্শক এস এম গাফফারুল আলম তার বিরুদ্ধে উত্তরা পশ্চিম থানায় এ মামলা করে।
৩০ জুলাই ঢাকা মহানগর হাকিম মোর্শেদ আল মামুন ভূঁইয়ার আদালতে প্রতারক শাহেদ করিমের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের পরিদর্শক মো. শায়রুল।
২৭ আগস্ট ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কে এম ইমরুল কায়েশ তার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন।