মা-মেয়েকে নির্যাতন, ইউপি চেয়ারম্যানসহ আসামি ৩০ জন
চট্টগ্রামে নিজ বাসায় মিলল মা ও ছেলের গলাকাটা লাশ
সীতাকুণ্ডে সম্পত্তির লোভে বৃদ্ধ পিতাকে শারীরিক নির্যাতন করেছে নিজের তিন ছেলে-মেয়ে। অমানসিক সেই নির্যাতন থেকে বাঁচতে সংবাদ সন্মেলন করেছেন উপজেলার পূর্ব হাসনাবাদ গ্রামের অবসরপ্রাপ্ত সেনা সদস্য মোঃ আবদুল বাতেন (৭০) নামের এক বৃদ্ধ।
মঙ্গলবার (২৫ আগষ্ট) সকালে সীতাকুণ্ড প্রেসক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সন্মেলনে লিখিত বক্তব্যে তিনি তার তিন ছেলে-মেয়ের নির্যাতনের কথা বর্ণনা দেন।
বৃদ্ধ আবদুল বাতেন বলেন, আমি সেনাবাহিনীর একজন অবসরপ্রাপ্ত সদস্য। তিন বছর পূর্বে আমার স্ত্রী ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে মারা যায়। আমার তিন ছেলে ও দুই মেয়ে রয়েছে। আমার স্ত্রী মারা যাওয়ার পর থেকে আমি নিঃস্ব হয়ে পড়ি, শারীরিকভাবেও আমি অসুস্থ। ছেলে-মেয়েরা কেউ আমাকে দেখে না, কোন খোঁজ খবরও নেয় না। আমি অত্যন্ত অসহায় অবস্থায় দিন যাপন করছি।
এ অবস্থায় গত ৭ মে অপরাগ হয়ে আমি এক বয়স্ক মহিলাকে শরিয়া মোতাবেক বিয়ে করি। বিয়ের পর থেকে আমার আপন দুই ভাইয়ের যোগসাজশে আমার ৩ সন্তান- মোহাম্মদ বেলাল (৪০), শারমিন আক্তার (৩৭) এবং আব্দুর রহিমকে (৩৫) বিভিন্নভাবে উসকিয়ে দিনের পর দিন আমাকে নানাভাবে ভয়-ভীতি দেখিয়ে সম্পত্তি আত্মসাৎ ও প্রাণনাশের অপচেষ্টায় লিপ্ত রয়েছে।
আমার প্রথম স্ত্রী ক্যান্সার আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়ার পর, আমি অনেকবার অসুস্থ ও মুমূর্ষু অবস্থার শিকার হই এবং বর্তমানেও তা অপরিবর্তিত রয়েছে। কিন্তু কোনো সন্তান আমার চিকিৎসা বা কোন রকম সেবায় এগিয়ে আসেনি।
আমার ছেলে মোঃ বেলাল, আবদুর রহিম এবং মেয়ে শারমিন আক্তার আমার সম্পত্তি তাদের নামে লিখে দিতে আমার উপর মানসিক চাপ ও শারীরিক নির্যাতন শুরু করে। গত ৪ জুলাই ঘর থেকে তারা আমার জমির সকল দলিলপত্র চুরি করে নিয়ে যায়। এ ব্যাপারে আমি তাদেরকে জিজ্ঞাসা করলে তারা আমাকে বেদম মারধর করে।
এঘটনায় আমি সীতাকুণ্ড থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী করি (জিডি নং-১৩৫৪)। থানার এএসআই রিয়াজ বিষয়টি বৈঠকের মাধ্যমে মিমাংসা করে দেবে বলে আমার কাছ থেকে একটি খালি স্ট্যাম্পে সাক্ষর নিয়েও সমাধান করেনি।
এদিকে আমার সমস্ত সম্পত্তি লিখে দিতে ভাটিয়ারী এলাকার জনৈক মহিলা দেলোয়ারা বেগম প্রকাশ দেলুনী তাদের সঙ্গে থেকে আমার উপর মানসিক চাপ সৃষ্টি করছে। আমাকে নিয়মিত মেরে ফেলার হুমকি দিয়ে যাচ্ছে। বর্তমানে আমি চরম নিরাপত্তাহীনতার মধ্যে জীবন-যাপন করছি। তাই আমার এবং আমার স্ত্রীর নিরাপত্তা চেয়ে সংবাদ সন্মেলনের মাধ্যমে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।