কক্সবাজারে পুলিশের গুলিতে নিহত অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খানের সহকর্মী শিপ্রা দেবনাথের যে ইলেক্ট্ররিক ডিভাইসসহ বিভিন্ন মালামাল পুলিশ জব্দ করেছিল তা র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালয়ন’র (র্যাব) কাছে হস্তান্তরের আদেশ দেওয়া হয়েছে। কক্সবাজারের রামু থানার মামলায় এসব জব্দ করা হয়েছিল। এসব মালামলা র্যাবের তদন্ত কর্মকর্তার কাছে হস্তান্তরের আদেশ দিয়েছেন আদালত।
আজ বৃহস্পতিবার জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম (টেকনাফ-২) দেলোয়ার হোসেন এ আদেশ দেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন র্যাব-১৫ কক্সবাজার ব্যাটালিয়ানের সহকারী পরিচালক এএসপি বিমান চন্দ্র কর্মকার।
তিনি জানান, গত রোববার জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম (টেকনাফ-৩) তামান্না ফারাহর আদালতে সিনহার বোনের দায়ের করা মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এএসপি খাইরুল ইসলাম একটি আবেদন করেন। সেখানে তিনি রামু থানায় শিপ্রা দেবনাথের বিরুদ্ধে পুলিশের করা মাদক মামলায় জব্দ করা ইলেক্ট্রনিক ডিভাইসসহ ২৯টি মালামাল র্যাবের কাছে হস্তান্তরের আবেদন করেছিলেন। মামলার তদন্তের স্বার্থে এসব মালামাল প্রয়োজন বলে আবেদনে জানানো হয়।
আদালতের আদেশ মতে, জব্দ করা এসব মালামাল আনতে যে কোনো সময় রামু থানা যাওয়া হতে পারে। তবে ন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত জব্দ করা এসব মালামাল সংগ্রহ করতে র্যাবের কেউ থানায় আসেননি বলে জানান রামু থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবুল খায়ের।
ঐ আবেদনের প্রেক্ষিতে আদালত এ আদেশ দেন বলে জানা যায়। তবে শিপ্রার বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলায় জব্দ করা এসব মালামাল র্যাবের তদন্ত কর্মকর্তার কাছে হস্তান্তর না করতে আজ বৃহস্পতিবার আদালতে আর্জি জানায় পুলিশ। পুলিশের আর্জি নাকচ করে আদালত আগের আদেশ বহাল রাখেন।
উল্লেখ্য, গত ৩১ জুলাই রাতে কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সড়কের বাহারছড়া ইউনিয়নের শামলাপুর চেকপোস্টে পুলিশের গুলিতে নিহত হন সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ (৩৬)। অবসরপ্রাপ্ত এ মেজর ভ্রমণ বিষয়ক ডকুমেন্টারি বানানোর জন্য গত প্রায় এক মাস যাবৎ কক্সবাজারের হিমছড়ি এলাকায় অবস্থান করছিলেন। তার সঙ্গি স্ট্যামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিল্ম অ্যান্ড মিডিয়া বিভাগের শিক্ষার্থী সিফাত ও শিপ্রা দেবনাথ।
পুলিশ সেদিন ঘটনাস্থল (শামলাপুর চেকপোস্ট) থেকেই সিফাতকে গ্রেফতার করে। পরে নীলিমা রিসোর্ট থেকে শিপ্রাকে গ্রেফতার করা হয়। সিনহা নিহতের ঘটনায় এবং তার গাড়ি থেকে মাদক উদ্ধারের অভিযোগে নিহত সিনহা এবং সঙ্গে থাকা সিফাতকে আসামি করে টেকনাফ থানায় মামলা দায়ের করে পুলিশ। পরে ঐ রাতেই নীলিমা রিসোর্ট থেকে শিপ্রাকে গ্রেফতার করার সময় মাদক পাওয়া যায় অভিযোগে রামু থানায় তাকে আসামী করে মামলা করা হয়।