চরফ্যাসনে বিদ্যুৎ গ্রাহক হয়রানি নিয়ে বিশিষ্টজনদের ক্ষোভ
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ৯:০০ অপরাহ্ণ, আগস্ট ৯, ২০২০ | আপডেট: ৯:০৪:অপরাহ্ণ, আগস্ট ৯, ২০২০
SHARES
ভোলার চরফ্যাসনে বিদ্যুৎ গ্রাহকদের নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ নিয়ে বিদ্যুত বিভাগের ব্যাপক দূর্ণীতি হয়রানী ও অনিয়মের প্রতিবাদে উপজেলা পরিষদে বিশিষ্টজনরা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।
রবিবার বেলা ১১টায় স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ভোলা জেলা নাগরিক ফোরাম (দক্ষিণ) ও টিম চিলেকোঠার আয়োজনে গ্রাহকদের ভৌতিক বিল, বিভিন্ন চার্জ বিড়ম্বনা, গ্রাহক হয়রানিসহ বিদ্যুৎ বিভাগের নানারকম স্বেচ্ছাচারিতা নিয়ে সমাজের বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গরা এ ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
সভাপতিত্ব করেন ভোলা নাগরিক ফোরাম (দক্ষিণ) কমিটির সভাপতি এম আবু সিদ্দিক।
চরফ্যাসন উপজেলা চেয়ারম্যানের কার্যালয়ে আয়োজিত সংলাপে চরফ্যাসন আবাসিক বিদ্যুৎ প্রকৌশলী গোলাম মোহাম্মদ মহসিন মোল্লা ও পল্লী বিদ্যুত সমিতির ডিজিএম মোঃ মিজানুর রহমান এসময় উপস্হিত ছিলেন।
সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, চরফ্যাসন উপজেলা চেয়ারম্যান জয়নাল আবেদিন আখন।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্হিত ছিলেন চরফ্যাসন উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম ভিপি, পৌর মেয়র শ্রী বাদল কৃষ্ণ দেবনাথ, চরফ্যাসন পৌর আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক মনির আহমেদ শুভ্র, চরফ্যাসন প্রেসক্লাব সভাপতি আবুল হাসেম মহাজন, চরফ্যাসন বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি মনির উদ্দিন চাষী, চরফ্যাসন পৌরসভার কাউন্সিলর আকতারুল আলম সামু, নাগরিক ফোরাম ভোলা দক্ষিণের সিনিয়র সহ-সভাপতি কামাল হোসেন, সহসভাপতি মনির আসলামী, কামাল মিয়াজী, সাধারণ সম্পাদক মোঃ ইয়াহ ইয়া ইসলাম মনির, যুগ্ন সম্পাদক কামরুল সিকদার, মাইনুদ্দিন জমাদার, সোহেব চৌধুরী, সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ আমিনুল ইসলাম, টিম চিলেকোঠার মোঃ রনি।
বিদ্যুৎ গ্রাহকদের নানা রকম হয়রানি বন্ধে বক্তারা বলেন, চরফ্যাসন উপজেলায় প্রতিনিয়ত বিদ্যুৎ বিভাগের অনিয়ম, স্বেচ্ছাচারিতা ও প্রতিনিয়ত গ্রাহকরা হয়রানির বন্ধ না হলে কঠোর আন্দোলন হলে দায়ভার বিদ্যুত বিভাগকে নিতে হবে। দীর্ঘদিন ধরে মিটার রিডাররা মিটার চেক না করেই বিদ্যুৎ ভৌতিক বিলসহ দূর্নীতি করে আসছে।
বিদ্যুৎ গ্রাহকদের উদ্দেশ্যে আবাসিক প্রকৌশলী আশ্বস্থ করে বলেন, এখন থেকে গ্রাহকদের পছন্দের মিটার ক্রয় করতে পারবেন। তাদের নির্ধারিত কোন মিটার কেনা লাগবেনা। গ্রাহকরা অতিরিক্ত বিভিন্ন অহেতুক মিটার বিলচার্জে হয়রানি হবেনা এবং আগামী ৬ মাসের মধ্যে অসমাপ্ত কাজ শেষ হলেই নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুত সরবরাহ নিশ্চিত হবে।