ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি) রাজধানীতে কোরবানির পশুর বর্জ্য অপসারণের কাজ করছে। রোববারের (২ আগস্ট) মধ্যেই সব বর্জ্য অপসারণ করা হবে বলে জানিয়েছেন ঢাকার দুই মেয়র।
শনিবার (১ আগস্ট) বেলা ১২টায় বসিলায় ডিএনসিসি ডিজিটাল হাটের মাধ্যমে দেওয়া কোরবানির স্থান পরিদর্শন করেন ডিএনসিসির মেয়র আতিকুল ইসলাম। তিনি বলেন, ডিএনসিসির পক্ষ থেকেও পর্যাপ্ত প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে কোরবানির বর্জ্য অপসারণের। রোববারের মধ্যেই সব কোরবানির বর্জ্য অপসারণ করা হবে। এজন্য ডিএনসিসির বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ছুটি বাতিল করা হয়েছে
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপেরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস সকালে বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে ঈদের নামাজ আদায়ের পর সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে বলেন, ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ডিএসসিসি এলাকার সব কোরবানির বর্জ্য অপসারণ করা হবে। এ জন্য সংশ্লিষ্ট বিভাগের সব কর্মকর্তা-কর্মচারীর ছুটি বাতিল করা হয়েছে। কোরবানির পর পশুর যে বর্জ্য হবে, আমরা সে বর্জ্য দুপুর ২টা থেকে সম্পূর্ণরূপে অপসারণের কার্যক্রম শুরু করব। ইনশাল্লাহ গতবারের মতো এবারও আমরা ঢাকাকে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করতে পারব। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে বর্জ্য অপসারিত হবে।
এছাড়া দুপুর ২টায় ডিএনসিসির মেয়র আতিকুল ইসলাম সাঈদনগর কোরবানি পশুর হাট পরিষ্কারের মধ্যদিয়ে বর্জ্য ব্যবস্থাপনার কার্যক্রম উদ্বোধন করেন। তিনি বলেন, এবছর ১০ হাজার টন বর্জ্য উৎপন্ন হবে— এই লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে তারা প্রস্তুতি নিয়েছেন। বর্জ্য অপসারণের জন্য ডিএনসিসির নিজস্ব, আউটসোর্সিং এবং প্রাইমারি ওয়েস্ট কালেকশন সার্ভিস প্রোভাইডার (পিডব্লিউসিএসপি) কর্মীসহ ১১ হাজার ৫০৮ জন পরিচ্ছন্নতা কর্মী মাঠে রয়েছেন। কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সব ধরনের ছুটি বাতিল করা হয়েছে। বর্জ্য অপসারণে ভারী ও হালকা মিলে ৪৩০টি যানবাহন মাঠে কাজ শুরু করেছে। ১১টি পানির গাড়ির মাধ্যমে স্যাভলন ও ব্লিচিং মিশ্রিত পানি ছিটিয়ে কোরবানির স্থান দূষণমুক্ত করা হচ্ছে। পরিবেশ সুরক্ষা ও দূষণমুক্ত রাখার লক্ষ্যে প্রায় ৫১ টন ব্লিচিং পাউডার ও ৫ লিটার ধারণক্ষমতা সম্পন্ন ৯৬০ ক্যান তরল জীবাণুনাশক ছিটানোর কাজ চলছে।
ডিএসসিসি সূত্র জানায়, কোরবানির পশুর হাট ও কোরবানির বর্জ্য সুষ্ঠু তদারকিতে নগর ভবনে কন্ট্রোল রুম স্থাপন করা হয়েছে। সেখান থেকে কর্মকর্তা-কর্মচারীরা বিভিন্ন পরিক্রমার মাধ্যমে কোরবানি বর্জ্য অপসারণ কার্যক্রম তদারকি করছেন। এছাড়া প্রতিটি অঞ্চলে একটি করে মোট ১০টি কমিটি গঠন করে দেওয়া হয়েছে। কমিটি মাঠে কাজ করছে। ডিএসসিসি এলাকায় কোরবানি দেওয়ার জন্য ৭৫টি স্থান নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে।
ডিএসসিসি আরও জানিয়েছে, ঈদের দিন প্রায় ৫ হাজার ৫০০ টন বর্জ্য উৎপন্ন হবে। বর্জ্য সংরক্ষণের জন্য ডিএসসিসি থেকে প্রায় এক লাখ বিশেষ ধরনের ব্যাগ বিতরণ করা হয়েছে। মাঠপর্যায়ে কর্মীসহ মোট ছয় হাজার জন পরিচ্ছন্নতাকর্মী ও কর্মকর্তা-কর্মচারী নিয়োজিত। প্রতিদিনের সৃষ্ট বর্জ্য পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে অপসারণ করা হবে। বর্জ্য অপসারণের জন্য ভারী ও হালকাসহ তিন শতাধিক যানবাহন মাঠে কাজ করছে। এছাড়া ১২টি পানির গাড়ির মাধ্যমে স্যাভলন ও ব্লিচিং মিশ্রিত পানি ছিটিয়ে কোরবানির স্থান দূষণমুক্ত করা হবে। পরিবেশ সুরক্ষা ও দূষণমুক্ত রাখাতে ৪২ টন ব্লিচিং পাউডার ও ১৮০০ লিটার তরল জীবাণুনাশক ছিটানো হবে।