রাজধানীতে যত্রতত্র পশু কোরবানী

জীবন-যাপন বাংলাদেশ

রাজধানীতে ঢাকা সিটি করপেরেশনের নির্ধারিত জায়গার বাইরেও হচ্ছে যত্রতত্র পশু কোরবানী। মানা হচ্ছে না নির্দেশনা ও স্বাস্থ্য বিধিও। সকাল থেকে রাজধানীর সড়ক, বিভিন্ন আবাসিক এলাকা ও অলিগলি ঘুরে এসব চিত্র দেখা যায়।  

যারা কোরবানী করছেন, তারা বলছে- সিটি করপোরেশনের নির্ধারিত জায়গা মানসম্মত না, অনেক দূরে, অল্পসংখ্যক জায়গাসহ নানা অভিযোগ তাদের। অনেকে ধর্মীয় বিষয় ও পরিবারিক রীতি অনুযায়ী বাসার আঙ্গিনায় কোরবানী করতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করছেন। 

তারা বলছেন, নিজ দায়িত্ব ময়লা-অবর্জনা পরিষ্কার করে ফেলবেন। কিন্তু কোরবানী করার পরও সড়কে উচ্ছিষ্ট ফেলে রাখতে দেখা যায়। 

অন্যদিকে কোরবানীর ক্ষেত্রে মানছে না স্বাস্থ্যবিধি, বিশেষ করে সিটি করপোরেশনের নির্ধারিত  জায়গাগুলোতে গাদাগাদি ও মাস্ক না পরেই কাজ করতে দেখা যায় অনেককে। এছাড়া বিগত কয়েক বছরের তুলানায় পশু কোরবানীর সংখ্যা এক তৃতীয়াংশ কম বলছেন কসাইরা।

পশু কোরবানির জন্য রাজধানীর ৩৩১টি স্থান নির্ধারণ করে দেয় ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন। এসব স্থানে পশু জবাইয়ের পর ২৪ ঘন্টার মধ্যে বর্জ্য অপসারণ করবে তারা। বাড়ির নিচে পশু জবাই করলে বর্জ্য ফেলার জন্য তাদের পলিথিন ব্যাগ বিতরণ ও নির্ধারিত সময়ে ময়লা অপসারণে কাউন্সিলরদের নির্দেশনা দিয়েছেন দুই সিটির মেয়র। ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন এলাকায় ৭৫টি এবং উত্তরে ২৫৬টি স্থান নির্ধারিত করা হয়েছে কোরবানীর পশু জবাই করার জন্য।

Leave a Reply

Your email address will not be published.