সংসদ ভবন, ৭ জুন, ২০২৩ (নিখাদ বার্তাকক্ষ) : প্রধানমন্ত্রী ও সংসদ নেত্রী শেখ হাসিনা আজ সংসদে বলেছেন, তিনি কখনো এমন কোনো অন্যায় কাজ করেন নি, যা দেশের মানুষের মর্যাদা ক্ষুন্ন করতে পারে।
তিনি বলেন, বৈশ্বিক ঋণদাতা বিশ্বব্যাংকও (ডব্লিউবি) বুঝতে পেরেছে যে, তারা পদ্মা সেতু নির্মাণ নিয়ে তার সরকারের বিরূদ্ধে দুর্নীতির মিথ্যা অভিযোগ এনেছিল। প্রধানমন্ত্রী বলেন, “(যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াাশিংটনে বিশ্ব ব্যাংকের সদর দফতরে আমার সাম্প্রতিক সফরের সময়) আমি দৃঢ়ভাবে বলেছিলাম যে, বাংলাদেশের জনগণের মর্যাদা ক্ষুনকারী কোনো অসৎ উদ্দেশ্যকে আমি কখনই সমর্থন করব না।” ঢাকা থেকে নির্বাচিত জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য সৈয়দ আবু হোসেন বাবলার এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, “ বিশ্বব্যাংক বুঝতে পেরেছে যে তারা আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ এনেছে।” তিনি বলেন, বিশ্বব্যাংকের সদর দপ্তরে আলোচনার সময় তিনি আরো একবার বিশ্বব্যাংকের উদ্দেশ্যমূলক পদ্মা সেতু নির্মাণে দুর্নীতির মিথ্যা অভিযোগ আনার বিষয়ে তার ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন।
আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য কাজিম উদ্দিনের এক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী সংসদকে জানান যে দেশে বর্তমানে (মে পর্যন্ত) মজুদকৃত খাদ্যশস্যের পরিমাণ ১৬.২৭ লাখ মেট্রিক টন। তিনি বলেন, “মোট খাদ্যশস্যের মধ্যে চালের পরিমাণ ১২.২৫ লাখ মেট্রিক টন, গম ৩.৯৬ লাখ মেট্রিক টন এবং ধানের পরিমাণ ৯ হাজার মেট্রিক টন।”
প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশে সর্বোচ্চ খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে চলতি অর্থ বছরে (২৩ মে ২০২৩) এ পর্যন্ত ৬ দশমিক ৩৪ লাখ মেট্রিক টন চাল এবং ৬ লাখ ৮০ লাখ মেট্রিক টন গম আমদানি করা হয়েছে।
আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য আলী আজমের এক প্রশ্নের জবাবে শেখ হাসিনা বলেন, দেশের নতুন নতুন এলাকায় ভূতাত্ত্বিক জরিপ ও সিসমিক সার্ভে কার্যক্রম জোরদার করা হয়েছে।
জাপা সংসদ সদস্য মশিউর রহমান রাঙ্গার অপর এক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, স্বল্পোন্নত দেশের তালিকা থেকে বাদ পড়ার ফলে বাংলাদেশ ২০২৬ সালের পর, ভারতে পণ্য রপ্তানির ক্ষেত্রে শুল্কমুক্ত কোটামুক্ত সুবিধা পাবে না। তিনি বলেন, “এটি ভারতে পণ্য রপ্তানিতে নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।” প্রধানমন্ত্রী বলেন, “এটি বিবেচনায় নিয়ে ভারতের সাথে ব্যাপক অর্থনৈতিক অংশীদারি চুক্তি (সিইপিএ) কার্যকর করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, “এটি এখনও আলোচনার পর্যায়ে রয়েছে। সিইপিএ স্বাক্ষরিত হলে, ভারতে বাংলাদেশের রপ্তানি ১৯০ শতাংশ বৃদ্ধির সম্ভাবনা রয়েছে। এতে জিডিপি ১.৭২ শতাংশ বৃদ্ধি পাবে বলে আশা করা হচ্ছে।”
আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য মমতাজ বেগমের এক প্রশ্নের জবাবে সংসদ নেতা বলেন, বর্তমানে বিশ্বের ১৭৪টি দেশে ১ কোটি ২০ লাখ কর্মরত প্রবাসী রয়েছেন।