নিখাদ বার্তাকক্ষ: টাকা না দিয়েই পাওয়া যায় উড়োজাহাজের টিকেট। অবিশ্বাস্য হলেও এমন ঘটনাই ঘটছে রাষ্ট্রীয় সংস্থা বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সে।
সরকারি মাল, দরিয়া মে ঢাল। অনেকটা এমন অবস্থা বাংলাদেশ বিমানের। তাই তো দেদারসে বাকিতে টিকিট বিক্রি করে সংস্থাটি। যাতে বকেয়া ছাড়িয়েছে ২০০ কোটি টাকা।
প্রতিষ্ঠানটির হিসাবের বই ঘেঁটে দেখা যায়, দেদারসে বাকিতেই টিকেট বিক্রি করে বিমান। সঙ্গে নিজেদের আয় থেকে কর্মীদের দেয়া ঋণও হয় না আদায়। ২০২০ সাল পর্যন্ত এভাবেই বিভিন্ন ব্যাক্তি ও প্রতিষ্ঠানের কাছে বিমানের পাওনা দাড়িয়েছে প্রায় ২১১ কোটি টাকা। তবে কাদের কাছে এত টাকা বাকি তার বিস্তারিত জানায়নি সংস্থাটি।
বিমানের অনিয়ম আর অদক্ষতার যেন তল পাওয়া যায়না। ২০১৪ সালে পুনঃনির্মাণের উদ্দেশে রাজধানীর প্রাণকেন্দ্র মতিঝিলে ৯০ হাজার বর্গফুটের বলাকা ভবনটি খালি করা হয়। এরপর বছরের পর বছর পেরিয়ে গেলেও কাজ হয়নি কিছুই। ওই ভবনে এখন তিনটি প্রতিষ্ঠান তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করছে। যাদের দুটি আবার দেড় বছরের বেশি সময় ধরে ভাড়াই দিচ্ছে না। বাকি ১টির কাছ থেকে ভ্যাটসহ ভাড়া আদায় করলেও সরকারি কোষাগারে জমা হয়নি সেই করের টাকা।
কর্মীদের আবাসনে ১৯৭৯ সালে রাজধানীর উত্তরা মডেল টাউনে ১৭ বিঘার বেশি জমির জন্য রাজউককে এককালীন প্রায় ৪৩ কোটি টাকা পরিশোধ করে বিমান। যার দাম এখন প্রায় ১৮০ কোটি টাকা। তবে ৪ দশকেও সেই জমি এখনো দখলে নেয়নি বিমান বাংলাদেশ। এভাবেই ৩ অর্থবছরে প্রায় ১০৬৬ কোটি টাকা আর্থিক ক্ষতি নিয়ে আপত্তি তুলেছে বানিজ্যিক অডিট অধিদপ্তর।