যুদ্ধজাহাজ ‘সংগ্রাম’-এর কমিশনিং করলেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী
নৌবাহিনীর আধুনিক যুদ্ধজাহাজ ‘সংগ্রাম’ এর কমিশনিং করেছেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বৃহস্পতিবার (১৮ জুন) জাহাজটির কমিশনিং করেন তিনি। আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদফতর (আইএসপিআর) জানায়, বাংলাদেশের জলসীমা সুরক্ষায় নৌবাহিনীর সক্ষমতা বাড়াতে নৌবহরে সংযোজিত হয়েছে নতুন করভেট ক্লাস যুদ্ধজাহাজ ‘সংগ্রাম’। উদ্ভুত করোনা পরিস্থিতির কারণে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে জাহাজটির কমিশনিং করেন।
জাহাজটি আগামী ৯ জুলাই জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে অংশগ্রহণের লক্ষ্যে লেবাননের উদ্দেশ্যে যাত্রা করবে। লেবাননের ভূ-মধ্যসাগরে মাল্টিন্যাশনাল মেরিটাইম টাস্কফোর্সের সদস্য হিসেবে উপমহাদেশের মধ্যে একমাত্র বাংলাদেশ নৌবাহিনীর যুদ্ধজাহাজ বিশ্বশান্তির দূত হিসেবে নিয়োজিত রয়েছে। নতুন এ যুদ্ধজাহাজ জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে অংশগ্রহণের মাধ্যমে দেশের সমুদ্রসীমা পেরিয়ে বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠায় বলিষ্ঠ ভূমিকা রাখবে বলে আশা করা যায়।
এরআগে, চট্টগ্রাম নৌ জেটিতে নৌবাহিনী প্রধান অ্যাডমিরাল আওরঙ্গজেব চৌধুরী মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর অনুমতি নিয়ে জাহাজের অধিনায়ক ক্যাপ্টেন এফ এম আরিফুর রহমান ভূঁইয়ার হাতে কমিশনিং ফরমান তুলে দেন এবং নৌবাহিনীর রীতি অনুযায়ী আনুষ্ঠানিকভাবে নামফলক উন্মোচন করেন। এর মধ্য দিয়ে যুদ্ধজাহাজটি নৌবাহিনীতে আনুষ্ঠানিকভাবে অপারেশনাল কার্যক্রম শুরু করলো।
কমিশনিং অনুষ্ঠানে ভিডিও কনফারেন্সে সংযুক্ত হয়ে উপস্থিত ঊর্ধ্বতন সামরিক ও বেসামরিক কর্মকর্তা, স্থানীয় রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গের উপস্থিতিতে বাংলাদেশ নৌবাহিনীকে একটি আধুনিক শক্তিশালী ত্রিমাত্রিক নৌবাহিনীতে রুপান্তরে বর্তমান সরকারের ঐকান্তিক প্রয়াসের কথা উল্লেখ করেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী। তিনি বাংলাদেশের সামুদ্রিক সম্পদ রক্ষা ও দুর্যোগ মোকাবিলায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যে আধুনিক নৌবাহিনী গড়ার স্বপ্ন দেখেছিলেন সেটা গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করেন।
আইএসপিআর আরও জানায়, সদ্য সংযোজিত ৯০ মিটার দৈর্ঘ্য ও ১১ মিটার প্রস্থের এই জাহাজটি ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ২৫ নটিক্যাল মাইল বেগে চলতে সক্ষম। জাহাজটি আধুনিক প্রযুক্তি সম্পন্ন কামান, ভূমি থেকে আকাশে ও ভূমি থেকে ভূমিতে উৎক্ষেপনযোগ্য মিসাইল, অত্যাধুনিক ত্রিমাত্রিক র্যাডার, ফায়ার কন্ট্রোল সিস্টেম, র্যাডার জ্যামিং সিস্টেমসহ বিভিন্ন ধরনের যুদ্ধ সরঞ্জামাদিতে সুসজ্জিত। এছাড়া, জাহাজটিতে হেলিকপ্টার অবতরণ ও উড্ডয়নের সুবিধা রয়েছে।
২০১৯ সালের ২৭ এপ্রিল জাহাজটি চীনের সাংহাই বন্দর হতে বাংলাদেশে এসে পৌঁছায়।