বিচারিক আদালতের অন্তত ৭৩ জন বিচারক করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। তাদের অধীনস্থ বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মচারী আক্রান্ত হয়েছেন ২৭৭ জন। গতকাল এ তথ্য জানিয়েছেন আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা ড. মো. রেজাউল করিম।
তিনি জানান, অধঃস্তন আদালতে করোনা শনাক্তের বিবেচনায় সুস্থতার হার ৬৬ শতাংশ এবং মৃত্যুর হার শূন্য দশমিক ৫৭ শতাংশ। যা জাতীয় সুস্থতার হারের চেয়ে যথাক্রমে সাড়ে ৮ শতাংশ বেশি। জাতীয় মৃত্যুর হারের চেয়ে শূন্য দশমিক ৭৫ শতাংশ কম। স্বাস্থ্য অধিদফতরের গত শনিবারের স্বাস্থ্য বুলেটিনের পরিসংখ্যান অনুযায়ী দেশে করোনা শনাক্তের বিবেচনায় সুস্থতার হার ৫৭ দশমিক ৪৭ শতাংশ। মৃত্যু হার ১ দশমিক ৩২ শতাংশ।
আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আইন ও বিচার বিভাগ পরিচালিত করোনা মনিটরিং ডেস্কের ৮ আগস্ট পর্যন্ত প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী অধঃস্তন আদালতে কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত হয়েছেন ৩৫০ জন। এদের মধ্যে বিচারক ৭৩ জন। কর্মচারী ২৭৭ জন।
কোভিড-১৯ থেকে সম্পূর্ণ সুস্থ হয়েছেন ২৩১ জন। এদের মধ্যে ৪৬ বিচারক এবং ১৮৫ জন কর্মচারী। তার মধ্যে বর্তমানে ২৭ বিচারক অসুস্থ রয়েছেন। ২৫ জন নিজ বাসায় এবং ২ জন হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। কর্মচারী অসুস্থ রয়েছেন ১০২ জন। আক্রান্তদের মধ্যে দুই জন ইন্তেকাল করেছেন। এর মধ্যে ১ জন বিচারক, ১ জন কর্মচারী।
বিচারিক আদালতে সুস্থতার ও মৃত্যুর হার উভয় ক্ষেত্রে বিচারকদের চেয়ে কর্মচারীরা ভালো অবস্থানে রয়েছেন। আইন ও বিচার বিভাগের মনিটরিং ডেস্কের গতকালের তথ্য- উপাত্ত বিশ্লেষণে দেখা যায়, করোনা শনাক্ত বিবেচনায় বিচারকদের সুস্থতার হার ৬৩ শতাংশ। কর্মচারীদের সুস্থতার হার ৬৬ দশমিক ৭৮ শতাংশ। করোনা শনাক্ত বিবেচনায় বিচারকদের মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৩৬ শতাংশ। সেখানে কর্মচারীদের মৃত্যুর হার শূন্য দশমিক ৩৬ শতাংশ। আইন মন্ত্রণালয়ের মনিটরিং ডেস্কের প্রধান সমন্বয়ক ড. শেখ গোলাম মাহবুব জানান, আইনমন্ত্রী আনিসুল হক এবং আইন সচিব মো. গোলাম সারওয়ার মনিটরিং ডেস্কের রিপোর্ট প্রতিদিন পর্যবেক্ষণ করছেন। আক্রান্তদের চিকিৎসার খোঁজ-খবর রাখছেন।