আধুনিক শিক্ষার নির্ভরযোগ্য প্রতিষ্ঠান দক্ষিণ আইচা অধ্যক্ষ নজরুল ইসলাম কলেজ।
মিজান ফারহান।
বাংলাদেশের বৃহত্তম দ্বীপ ভোলার অনগ্রসর জনগোষ্ঠীর উন্নয়নের লক্ষ্যে ভোলার চর ফ্যাসনের শিক্ষানুরাগী ব্যক্তি মরহুম মিয়া মোঃ নজরুল ইসলাম স্যারেরে সন্তান। আবদুল্লাহ আল ইসলাম (জ্যাকব) এম.পি’র উদ্যোগে ২০১৪ খ্রিষ্টাব্দে একাদশ বিজ্ঞান, বাণিজ্য ও মানবিক বিভাগ নিয়ে বেসরকারিরূপে ভোলা জেলা চর ফ্যাসন উপজেলার দক্ষিণ অধ্যক্ষ নজরুল ইসলাম কলেজ প্রতিষ্ঠিত হয়। ১৪-১৫ শিক্ষাবর্ষে কলেজটিতে একাদশ (পাস) কোর্স চালু হয়। ২০২২ সালে কলেজটিকে এম.পি.ভূক্ত করা হয়। বর্তমানে কলেজে ডিগ্রি কোর্স চালু হয়েছে। অধ্যক্ষ নজরুল ইসলাম কলেজেটি চর ফ্যাসন দক্ষিণ আইচা মেইন সড়কের পশ্চিম পার্শ্বে অত্যন্ত মনোরম পরিবেশে কলেজটির অবস্থান।
দক্ষিণ আইচা অধ্যক্ষ নজরুল ইসলাম কলেজের জমির পরিমাণ ৫.৫০ একর। এই জমির বিভিন্ন অংশে প্রতিষ্ঠানের সাথে সম্পর্কিত বিভিন্ন অবকাঠামো নির্মিত হয়েছে। প্রতিষ্ঠানটিতে রয়েছে পড়াশোনা জন্য প্রশাসনিক ভবন, বিজ্ঞান ভবন, বাণিজ্য ভবন, একাডেমিক কাম এক্সাম হল নির্মিত হয়ে কলেজ ক্যাম্পাসটি এবং এখানেই হয় এইচএসসি পরীক্ষা। বরিশাল বিভাগের অন্যতম একটি আকর্ষণীয় ডিজিটাল ক্যাম্পাসে পরিণত হয়েছে। শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা ও শৃঙ্গলা বজায় রাখার জন্য সমগ্র ক্যাম্পসে সি.সি ক্যামেরার আয়ত্তে রয়েছে। একাডেমিক কার্যক্রমের পাশাপাশি জাতীয় ও আন্তর্জাতিক বিভিন্ন অনুষ্ঠান উদযাপন করার জন্য হল রুম মঞ্চ স্থাপন করা হয়েছে।
এছাড়াও রয়েছে অতি মনোরম ও মনোমুগ্ধকর ফুলের বাগান কলেজ প্রাঙ্গণে । মনোরঞ্জিত সমাহার কলেজের চার পাশে এবং লাল নীল হলুদ সহ বিভিন্ন রঙের বাতি জ্বলে রাতের আধারে মন ধাধানো সুসজ্জিত করা হয়েছে কলেজের চারিধারে এছাড়াও রয়েছে বিশাল খেলার মাঠ।
কলেজের অধ্যক্ষ আবুল হাসেম মহাজন। দিয়ে থাকেন, অসহায় দরিদ্র শিক্ষার্থীদের আর্থিক সহায়তা সহ বিভিন্ন ধরনের সুবিধা,
অত্র কলেজের অধ্যক্ষ আবুল হাসেম মহাজন।বলেন,এ কলেজেরে শিক্ষার্থীরা সাহিত্যে সংস্কৃতির অঙ্গনে কৃতিত্ব লাভ করে। শিক্ষার্থীরা এ কলেজ থেকে কৃতিত্বের সহিত শিক্ষা জীবন শেষ করে। দেশ বিদেশে অবদান রাখবে আমার দৃঢ় বিশ্বাস এবং এই কলেজের মুখ উজ্জ্বল করবে।
বঙ্গবন্ধুর আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে শিক্ষার্থীরা বহু দূর এগিয়ে যাবে এবং জাতি গঠনে বিরাট ভূমিকা পালন করবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি ।
অধ্যক্ষ আবুল হাসেম মহাজন আরো বলেন, কলেজের সার্বিক মান উন্নয়ন ও কর্মস্পৃহা অব্যাহত থাকুক এ প্রত্যাশা করছি। এ কলেজের সাথে জড়িত সকল শিক্ষক / শিক্ষিকা, কর্মচারী ও শিক্ষার্থীদের কে জানাচ্ছি আমার আন্তরিক শুভেচ্ছা।