সংসদে প্রথম বক্তব্যেই জনগনের প্রত্যশা তুলে ধরলেন নীলফামারীর আশিকা সুলতানা

জাতীয়

ষ্টাফ রিপোর্টারঃ দ্বাদশ জাতীয় সংসদের প্রথম অধিবেশনে মহামান্য ভাষনের আনীত ধন্যবাদ প্রস্তাবের উপর সাধারণ আলোচনায় বক্তব্য রাখেন জাতীয় সংসদের- ৩০৩, সংরক্ষিত আসন – ৩ এর নবনির্বাচিত সংসদ সদস্য ( নীলফামারী) আশিকা সুলতানা এম,পি।

আশিকা সুলতানা ৪/৩/২০২৪ ইং তারিখে নির্ধারিত ৫ মিনিটের প্রথম বক্তব্য শুরু করলে মাননীয় ডেপুটি স্পীকার ৮ মিনিট পযন্ত সময় বর্ধিত করেন। তিনি বক্তব্যে বলেন, বিগত ১৫ বছর ধরে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সারা দেশে যে ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে তা মহামান্য রাষ্ট্রপতি তার ১৪৩ পৃষ্ঠার বক্তব্যে নিখুঁত ভাবে তুলে ধরেছেন। মহামান্য রাষ্ট্রপতির এমন নিখুঁত বক্তব্যে জন্য আশিকা সুলতানা এম,পি নীলফামারী জেলাবাসীর পক্ষ থেকে ধন্যবাদ প্রদান করেন।

আশিকা সুলতানা তার বক্তব্যে বলেন, আজকের শিশু কিশোর আগামী দিনের ভবিষ্যত,আজ দেশ জুড়ে মাদকের আগ্রাসন ভয়াবহ রুপ নিয়েছে, মাদকের ছোবলে আসক্ত হয়ে পড়েছে দেশের যুবসমাজ,বিশেষ করে ২২ থেকে ২৫ বছর বয়সের স্কুল কলেজ পড়ুয়া শিক্ষার্থী ও যুবসমাজ মাদকে বেশী আসক্ত হচ্ছে। যদি যুবসমাজ মাদকে আসক্ত হয়ে পড়ে তাহলে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা কাকে দিয়ে করব? দেশে কিভাবে মাদক ঢুকছে, কে এর মূল হোতা তা চিহ্নিত করে দৃষ্টান্ত শাস্তি প্রদানের অনুরোধ করেন তিনি।

আশিকা সুলতানা তার বক্তব্যে উল্লেখ করেন যে বিগত সরকারের সময় তার সংসদীয় এলাকার আওয়ামী লীগের এম,পি না থাকায় আওয়ামী সরকারের উন্নয়ন তার এলাকায় পৌঁছে নাই। এজন্য তিনি মাননীয় স্পীকার মহোদয়ের মাধ্যমে মাননীয় যোগাযোগ মন্ত্রীর কাছে কিশোরগঞ্জ থেকে মাগুরা ও কিশোরগঞ্জ থেকে তারাগঞ্জ পযন্ত রাস্তা দুটি প্রসস্থকরন ও অন্যান্য রাস্তাগুলো সংস্কারের দাবী তুলে ধরেন, এছাড়া ও তিনি কিশোরগঞ্জ উপজেলা শহড়টিকে পৌরসভা ঘোষণার দাবী জানান।

তিনি এই অনুন্নত এলাকার মানুষের কর্মসংস্থান সৃষ্টির জন্য কিশোরগঞ্জে একটি শিল্পনগরী স্থাপনে জোর দাবী জানান,তিনি কিশোরগঞ্জ উপজেলা সরকারি হাসপাতালটিকে ২৫০ শয্যায় উন্নিত করে এম্বুলেন্স প্রদান সহ আধুনিক চিকিৎসা সুবিধা প্রদানের অনুরোধ জানান, তিনি বলেন কিশোরগঞ্জে সীমিত আকারে চা চাষ করে কৃষকরা সফলতা পাচ্ছে, চা চাষীদের উৎসাহিত করতে কিশোরগঞ্জে চা বোর্ডের একটি অফিস স্থাপন করে চা প্রক্রিয়াকরনের সুযোগ সৃষ্টির জোড়ালো দাবী জানান।

আশিকা সুলতানা বলেন, তার বাবা মরহুম আজাহারুল ইসলাম ১৯৭০ ও ১৯৯১ সালে এম,পি ছিলেন, সারাজীবন মানুষের কল্যানে কাজ করে গেছেন, তিনি তার বাবার অসমাপ্ত কাজ গুলো করে এলাকার মানুষের উন্নয়ন করতে চান।

Leave a Reply

Your email address will not be published.