অটোচালক হত্যার আসামি গ্রেপ্তার চর ফ্যাসনে |

অপরাধ চর ফ্যাশন প্রচ্ছদ

অটোচালক হত্যার আসামি গ্রেপ্তার চর ফ্যাসনে |

নিখাদ বার্তা কক্ষ।।
৩০ডিসেম্বর ২০২৩

ভোলার চরফ্যাশনের হাজারীগন্জ এক নম্বর ওয়ার্ডের হারুন নামে এক অটোরিকশা চালককে গলা কেটে হত্যার ঘটনায় মিজানুর রহমান নামে এক আসামিকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব।

গ্রেফতার হওয়া মিজানুর রহমান র‌্যাব-১০ এর কাছে এ ঘটনার স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। এ ঘটনায় মিজানুর রহমানসহ চারজন অংশ নিয়েছিলেন। তাদের মধ্যে দু’জন মামা-ভাগ্নে। মিজান এ নৃশংস হত্যার ঘটনা র‌্যাবকে জানিয়েছেন।

গত ২৭ ডিসেম্বর-২৩ দিনগত রাতে র‌্যাব-১০ এর একটি গোয়েন্দা টিম তথ্য-প্রযুক্তির মাধ্যমে ঢাকার দক্ষিণ কেরাণীগঞ্জ এলাকা থেকে মিজানকে গ্রেফতার করে।

শনিবার (৩০ ডিসেম্বর) র‌্যাব-১০ এর উপ-পরিচালক মো. আমিনুল ইসলাম সাংবাদিককে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

গ্রেফতার হওয়া মিজানুর রহমান চরফ্যাশন উপজেলার টেকেরহাট মসজিদ এলাকার মো. ফজলুর রহমানের ছেলে এবং খুন হওয়া হারুন একই উপজেলার শশিভূষণ থানা এলাকার আব্দুল মুনাফ পালোয়ানের ছেলে। হারুন পেশায় একজন অটোরিকশা চালক ছিলেন।

র‌্যাব-১০ এর উপ-পরিচালক মো. আমিনুল ইসলাম। সাংবাদিকদের বলেন, গত ১৯ ডিসেম্বর বিকেলে হারুন তার অটোরিকশা নিয়ে চরফ্যাশন বাজারে যায়। এরপর গ্রেফতার হওয়া মিজানসহ চারজন কিশোর হারুনের অটোরিকশায় যাত্রীবেসে উঠে হারুনকে উপজেলার মাদ্রাজ ইউনিয়নের হামিদপুর গ্রামের মেঘনা নদীর তীরে নিয়ে যায়। সেখানে নিয়ে তারা চারজন সুইচ গিয়ার চাকু দিয়ে গলা কেটে হারুনকে হত্যা করে অটোরিকশা ছিনতাই করে নিয়ে যায়।

মিজান র‌্যাবকে জানায়, এ হত্যাকাণ্ডে তারা চারজন অংশ নেয়। তাদের মধ্যে দু’জন আপন মামা-ভাগ্নে। আসামি গ্রেফতারের স্বার্থে প্রতিবেদনে অন্য তিন আসামির নাম পরিচয় গোপন রাখা হয়েছে। হত্যাকাণ্ডে অংশ নেওয়া চার কিশোরই চোরাকারবারি ও ছিনতাইয়ে জড়িত।

মিজান আরও জানায়, সে নিজে হারুনের গলায় ছুরি চালায়নি। সে পাশে দাঁড়িয়ে ছিল। তাদের চারজনের মধ্যে একজনে প্রথমে হারুনকে সুইচ গিয়ার চাকু দিয়ে আঘাত করে। আঘাত পেয়ে হারুন নদীর তীরের দিকে দৌঁড় দেয়। তখন তাদের চারজনের মধ্যে একজন দৌঁড়ে গিয়ে হারুনকে ঝাপটিয়ে ধরে মাটিতে শোয়ায়। এরপর পুনরায় সুইচ গিয়ার চাকু দিয়ে হারুনের গলাকাটা হয়। হারুনের গলাকাটা মরদেহ নদীর তীরে ফেলে রেখে তারা অটোরিকশা নিয়ে লালমোহন উপজেলার ফুলবাড়িয়া গ্রামে চলে যায়।

চরফ্যাশন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাখাওয়াত হোসেন জানান, হারুন হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় তার বাবা অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করে থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করে। হারুনকে গলা কেটে হত্যা করে আসামিরা তার অটোরিকশাটি লালমোহনের ফুলবাড়িয়া গ্রামে নিয়ে যায়। ঘটনার একদিন পর ফুলবাড়িয়া গ্রাম থেকে অটোরিকশা উদ্ধার করা হয়। মামলা হওয়ার পর এ ঘটনায় জড়িত আসামিদেরকে গ্রেফতারের চেষ্টা চালানো হয়। ঘটনার ৭ দিনের মাথায় র‌্যাব-১০ মিজানকে গ্রেফতার করে চরফ্যাশন থানায় সোপর্দ করে। মিজান এ ঘটনায় অন্য যাদের নাম বলেছে তাদেরকেও গ্রেফতারের চেষ্টা চলমান রয়েছে। তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে শিগগিরই তাদের গ্রেফতার করা হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published.