যুক্তরাষ্ট্রের ড্রোন হামলায় প্রাণ হারিয়েছিলেন ইরানের রেভল্যুশনারি গার্ডের কুদস বাহিনীর কমান্ডার জেনারেল কাশেম সোলাইমানি এবং আরও নয়জন। গত জানুয়ারিতে এই হামলার ঘটনা ঘটে। এরপর এ নিয়ে দুই দেশের মধ্যে এবং উপসাগরীয় অঞ্চলে উত্তেজনা বৃদ্ধি পায়। ঘটনাটির তদন্ত করছিল জাতিসংঘ। এই তদন্ত দল গত সোমবার জানিয়েছে, কাশেম সোলাইমানিকে হত্যা ছিল আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন।
কাশেম সোলাইমানিকে হত্যার একটি তদন্ত প্রতিবেদন তৈরি করেছেন জাতিসংঘের বিশেষ প্রতিনিধি অ্যাগনেস ক্যালামার্ড। বিচারবহির্ভূত এই হত্যাকাণ্ডের প্রতিবেদনের সারাংশে তিনি উল্লেখ করেছেন, কাশেম সোলাইমানিকে হত্যার, অর্থাৎ তিনি ইরাকের রাজধানী বাগদাদের বিমানবন্দর থেকে যখন বের হচ্ছিলেন, তাঁর সেই গাড়িবহরে হামলার কোনো কারণ দেখাতে পারেনি যুক্তরাষ্ট্র। এই হামলার পক্ষে যথেষ্ট তথ্যপ্রমাণও হাজির করতে পারেনি দেশটি।
অ্যাগনেস ক্যালামার্ড ওই প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছেন, সোলাইমানিকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে অস্ত্রবহনকারী ড্রোনের মাধ্যমে। এই হামলার জন্য দোষী ব্যক্তিদের বিচারের আওতায় আনার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। ক্যালামার্ড আরও লিখেছেন, এই হামলা জাতিসংঘের সনদের লঙ্ঘন।
বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের ঘটনা স্বাধীনভাবে তদন্ত করে থাকেন ক্যালামার্ড। এর আগে তুর্রস্কে সৌদি আরবের কনস্যুলেটে সাংবাদিক জামাল খাসোগি হত্যার তদন্তেও তিনি জড়িত ছিলেন। তিনি বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেন, বিশ্ব একটি কঠিন সময়ের মধ্যে রয়েছে, বিশেষ করে যখন এমন ড্রোন ব্যবহার করা হয়।