কোভিড-১৯ দ্রুত শনাক্তে বিশ্বের দরিদ্র দেশগুলোতে প্রায় ১২ কোটি পরীক্ষা কিট সরবরাহ করা হবে। এসব কিটের প্রতিটির দাম পড়বে সর্বোচ্চ ৫ মার্কিন ডলার।
অর্থ পাওয়া সাপেক্ষে এসব কিট সরবরাহ করা হবে বলে সোমবার বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এক ঘোষণায় এ কথা জানায়।
সংস্থাটি আরো বলছে, আগামী ছয় মাসে ১৩৩টি দেশে করোনা দ্রুত শনাক্তের এই কিট বিতরণ করা হবে। এ কিট নিয়মিত পিসিআর কিটের চেয়ে দ্রুত, সাশ্রয়ী এবং সহজে বহনযোগ্য হবে।
সংস্থা প্রধান টেডরস আধানম গেব্রিয়াসিস এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে বলেন, আমাদের সামান্য তহবিল রয়েছে। এসব পরীক্ষা কিট কেনার জন্য এখন আমাদের পুরো অর্থ প্রয়োজন।
গত সপ্তাহে সংস্থা এন্টিজেন ভিত্তিক র্যাপিড ডায়াগনস্টিক টেস্ট (আরডিটি) এর জরুরি ব্যবহারের ঘোষণা দেয় এবং অন্যরাও তা অনুসরণ করবে বলে প্রত্যাশা করে।
এ কিটের মাধ্যমে ১৫ থেকে ৩০ মিনিটের মধ্যে পরীক্ষার ফলাফল পাওয়া যাবে। এর জন্যে কয়েক ঘন্টা কিংবা দিন অপেক্ষা করতে হবে না। এটি কম খরচে পাওয়া যাবে এবং বহনে তেমন কোন দামী সরঞ্জামের প্রয়োজন হবে না।
আধানম আরো বলেন, এটি পরীক্ষার বিস্তৃতি ঘটাবে। বিশেষ করে যেখানে পৌঁছানো কষ্টকর, পিসিআর টেস্টের জন্য প্রয়োজনীয় পরীক্ষাগার কিংবা যথেষ্ট প্রশিক্ষিত স্বাস্থ্য কর্মী নেই সেখানে এই কিট নমুনা পরীক্ষাকে সহজ করে তুলবে।
এছাড়া ধনীদেশগুলোর সাথে নিম্ন ও মধ্য আয়ের দেশগুলোর মধ্যে পরীক্ষা নিয়ে নাটকীয় যে ব্যবধান রয়েছে তা কমিয়ে আনবে বলেও তিনি আশা করেন।
তবে তিনি বলেন, ধনী দেশগুলোর সমানুপাতে দরিদ্র দেশগুলোও যদি পরীক্ষার হার বাড়িয়ে দেয় তবে এই কিট দু’সপ্তাহও থাকবে না।
তাই তিনি উল্লেখ করেন, যেখানে পিসিআর পরীক্ষা সম্ভব হচ্ছে না এবং ব্যাপকভাবে করোনা ছড়িয়ে পড়েছে সেখানে দ্রুত টেস্ট কিট ব্যবহার করা যেতে পারে।
গ্লোবাল ফান্ডের নির্বাহী পরিচারক পিটার স্যান্ডস বলছেন, বর্তমানে প্রতি লাখে প্রতিদিন ২৯২টি পরীক্ষা করছে উচ্চ আয়ের দেশগুলো। উচ্চ মধ্য আয়ের দেশগুলো ৭৭, নিম্ন মধ্য আয়ের দেশগুলো ৬১ এবং নিম্ন আয়ের দেশগুলো ১৪টি পরীক্ষা করাচ্ছে।