ঢাকা, ৭ নভেম্বর, ২০২৩ (নিখাদ বার্তাকক্ষ) : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আইসিটি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ দেশের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ওপর বিএনপি-জামায়াতের সম্মিলিত সন্ত্রাসী হামলার নিন্দা করে বলেছেন, এগুলোর উদ্দেশ্য হল দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি সম্পূর্ণ বিকল করে দেয়া।
হার্ভার্ড ইউনিভার্সিটির এই প্রাক্তন ছাত্র বিএনপির একজন সিনিয়র কেন্দ্রীয় নেতা সম্প্রতি প্রকাশ্যে গত ২৮ অক্টোবর বিএনপি ক্যাডারদের দ্বারা কথিত পুলিশ অফিসারের নির্মম হত্যাকা-কে প্রকাশ্যে প্রশংসারও তীব্র নিন্দা করেছেন।
একজন পুলিশ কর্মকর্তাকে নির্মমভাবে পিটিয়ে হত্যার সঙ্গে বিএনপির সদস্যদের জড়িত থাকার খবরের মধ্যে, বিএনপির সাবেক সংসদ সদস্য নিলুফার মনি দাবি করেছেন যে ‘পুলিশ হত্যা তাদের অনুষ্ঠানকে সফল করেছে’।
গত ৪৮ ঘণ্টার অবরোধে বিএনপির সহযোগী সংগঠনের সদস্যদের রাজধানীতে পুলিশ ভ্যানে ককটেল নিক্ষেপের খবরের পরিপ্রেক্ষিতে সজীব ওয়াজেদ বলেন, ‘সন্ত্রাসীদের পুলিশের ভ্যানে হামলা স্পষ্টতই অবরোধ সফল করার চেষ্টা।’
এই পর্যবেক্ষণের সাথে তিনি অতীতে বিএনবি’র ছাত্র সংগঠনের পিকেটারদের পুলিশের ওপর হামলার এধরণের প্রতিবেদনে সংকলন করে একটি ছোট ভিডিও প্রতিবেদন সংযুক্ত করেন, যা থেকে বোঝা যায় অতীতের মতই তাদের ‘চলমান অবরোধ’ সফল করতে তারা পুলিশ ভ্যানে এই ককটেল নিক্ষেপ করেছে।
ভিডিওটি আরও মনে করিয়ে দেয় যে সহিংসতার প্রেক্ষিতে, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে লক্ষ্যবস্তু করে তাদের ওপর হামলা বিএনপি-জামায়াতের একটি বৈশিষ্ট্য। বিগত ২০১৩ থেকে ২০১৫ সালে বিএনপি-জামায়াতের সন্ত্রাসীদের হাতে ৯০ জনেরও বেশি পুলিশ কর্মকর্তা নিহত হন।
তিনি গণমাধ্যমের প্রতিবেদনেরও উল্লেখ করেন যাতে নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞদের উদ্ধৃত করে বলা হয় তারা বিশ্বাস করেন যে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ওপর এই ধরনের হামলার অর্থ আইন-শৃঙ্খলার সম্পূর্ণ বিকল করে দেয়া।
গত সাত দিনের ব্যবধানে, সজীব ওয়াজেদ একাধিক টুইট পোস্ট করে বিএনপি নেতাদের ভ-ামি প্রকাশ করেছেন, যারা দাবি করেছে যে তাদের আন্দোলন গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের জন্য করা হচ্ছে।
সজীব ওয়াজেদ লিখেছেন, কয়েকদিন আগে বিক্ষুব্ধ ক্যাডাররা একজন পুলিশ অফিসারকে পিটিয়ে হত্যা করেছে, একটি পুলিশ হাসপাতালে অগ্নিসংযোগ করেছে এবং ১০০ জনেরও বেশি কর্মকর্তাকে আহত করেছে।
পুলিশ অফিসারের নৃশংস হত্যাকা-কে স্বাগত জানিয়ে, একজন সিনিয়র বিএনপি নেতার প্রকাশ্যে দাবি ‘এই হত্যা তাদের অনুষ্ঠানকে সফল করেছে’, প্রাক্তন পুলিশ কর্মকর্তাদের উদ্বেগের মধ্যে ফেলেছে যারা একে ‘হত্যাকারীদের প্রশংসা করার একটি উল্লেখযোগ্য প্রচেষ্টা’ বলে অভিহিত করেছেন।
বিএনপি-জামায়াত ক্যাডাররা ২০১৩ থেকে ২০১৫ সালে আট মাস ধরে দেশব্যাপী অগ্নিসংযোগ ও অবরোধের নামে কমপক্ষে ৯০ জন পুলিশকে হত্যা করে।